Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এক দশকেই বদলে গেছে নারী ক্রিকেটের চিত্র খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা

প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রক্ষণশীল সমাজের গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসে নানা প্রতিক‚লতা পেরিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে একটার পর একটা সাফল্যের ইতিহাস রচনা করে চলেছে বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা। মেয়েদের সাফল্যে আজ স্ব-গর্বে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা, সমৃদ্ধ হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস। খেলাধুলায় মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ তৃতীয় কিস্তি।
শামীম চৌধুরী : ১৯৮২ সালে একদল উৎসাহী মেয়েকে নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটে পথচলা। আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ব্যনারে ১৯৮৩ সালে ইডেন গার্ডেনসে পশ্চিমবাংলা নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ৩০ ওভারের একটি প্রদর্শনী ম্যাচেও অংশ নিয়েছে সে সময়ে আইভি’র নেত্বতাধীন দলটি। অথচ, পেশাদারি মোড়কে মেয়েদের ক্রিকেট প্রবর্তনে অপেক্ষা করতে হয়েছে বছরের পর বছর। ১৯৯৭ সালে মহিলা ক্রীড়া সংস্থা নারী কোচিং ক্যাম্প আহŸান করেও পায়নি তেমন সাড়া, আইসিসি’র প্রেশক্রিপশনে ২০০০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নারী ক্রিকেট ক্যাম্প আয়োজন করেও হয়েছে হতাশ! 
রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থার মধ্যেও পাকিস্তানের মেয়েরা খেলছে ক্রিকেট, ১৯৯৭ সাল থেকে ওম্যান্স ওয়ানডে এবং পরের বছর থেকে টেস্ট খেলছে তারা নিয়মিত। অথচ, বাংলাদেশে সেখানে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নারী ক্রিকেট প্রবর্তনে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০৬ সাল পর্যন্ত! বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সবাই যখন নারী ক্রিকেটে করছে প্রতিনিধিত্ব, সেখানে বাংলাদেশের মেয়েদেরকে কেন ক্রিকেটে আনা যাচ্ছে না? আইসিসি’র উন্নয়ন তহবিলের একটা অংশ বরাদ্দ পেয়েও কেন আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না বাংলাদেশ? এ নিয়ে কম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি বিসিবিকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ২০০৬ সালের এপ্রিলে ওম্যান্স উইং গঠন করে, একটি ট্রেনিং ক্যাম্প আহŸান করে বিসিবি। যে মেয়েরা ব্যাট ধরতে শিখেছে সবেমাত্র, প্যাড পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না, তাদের মেধা পরখ করে দেখতে ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে নামিয়ে দেয়া হলো ওপেন টুর্নামেন্টে। তাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু বিসিবি’র। 
ঐ একটি টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে পরের বছরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি ওম্যান্স ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণেই বদলে গেল দৃশ্যপট। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মাত্র ৯ রানে অল আউট করে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে শুরু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী দলের পথচলা। সিঙ্গাপুর, চীন, হংকং, নেপালকে হারিয়ে ট্রফি জিতে অভিষেক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেই রচনা করেছে তাজকিয়ার নেতৃত্বাধীন দলটি ইতিহাস। এমন শুরুর কথা কল্পনাও করেননি সে সময়ের ওম্যান্স উইংয়ের সদস্য এবং পরবর্তীতে ওম্যান্স উইংয়ের চেয়ারপার্সন মনোয়ার আনিস খান মিনুÑ ‘আশি’র দশকেই মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশের। ছেলেদের আগে বিশ্বকাপ খেলতে পারতো বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু সে সময়ে বিসিবি এ ব্যাপারে তেমন উৎসাহী ছিল না বলে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়ে গেছে। আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে এসিসি ওম্যান্স টুর্নামেন্টে খেলার কথা ছিল না আমাদের। আশরাফুল ভাই (সৈয়দ আশরাফুল হক) তখন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিইও হওয়ায় আমাদের লাভ হয়েছে। আমরা ওই আসরে এন্ট্রি করতে পেরেছি। সবেমাত্র ক্রিকেট শুরু করেছে আমাদের মেয়েরা, তাই এসিসি ওম্যান্স টুর্নামেন্টে তেমন প্রত্যাশা ছিল না। দুই একটি ম্যাচ জিতে দেশে ফিরলেই খুশি হতাম। সেখানে আমাদের মেয়েরা দেশে ফিরলো ট্রফি নিয়ে!’
ভলিবলে তখন তুখোড় খেলোয়াড় পান্না ঘোষ, সেই পান্নাকে ধরে এনে ক্রিকেটার বানানো হয়েছে। এসিসি ওম্যান্স ট্রফির সেই আসরে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট সেই পান্না ঘোষই। চম্পা চাকমা ফুটবল ছেড়ে এসেছেন ক্রিকেটে। অন্যদের কেউ এসেছে হ্যান্ডবল, কেউবা ব্যাডমিন্টন, কাবাডি থেকে! তাদেরকে নিয়েই অসাধ্য সাধন! এখনো নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না এসিসি ওম্যান্স ট্রফি জয়ী কোচ জাফরুল এহসানÑ ‘তখন আমাদের মেয়েরা সবেমাত্র শুরু করেছে খেলা। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াই তৈরি হয়নি। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে শুনলাম হংকং দলে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটার আছে। ওই দলটি নিজেদেরকে আসরের ফেভারিট বলে দাবি করেছে। আশরাফুল ভাই (বিসিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এসিসি’র তৎকালীন সিইও) একদিন আমাদের কাছে এসে বললেন তোমরা যে তাদের চেয়ে ভাল খেলতে পার, যেভাবেই হোক হংকংকে তা বুঝিয়ে দাও। মেয়েরা কথা দিয়ে তা রেখেছে।’
ঐ টুর্নামেন্টটাই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের রেনেঁসা’র প্রথম ধাপ। পরবর্তীতে এশিয়া ওম্যান্স কাপে খেলার সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ মহিলা ক্লাব ক্রিকেট, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট ছাড়াও দ্বি-পাক্ষিক নারী ক্রিকেট সিরিজে আয়োজনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে পর্যায়ক্রমে। এমনটাই মনে করছেন মনোয়ার আনিস খান মিনুÑ ‘এসিসি ওম্যান্স ট্রফির শিরোপা জিততে পেরেছি বলেই পরের বছর ওম্যান্স এশিয়া কাপে অংশ নিতে পেরেছিলো আমাদের মেয়েরা। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের সাহসও পেলাম। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে খেলতে আমাদের মেয়েদের সাহস আরও বেড়ে গেলো। ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেই মেয়েরা জিতল রৌপ্য পদক। সেজন্য আশরাফুল ভাইয়ের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।’
১৯৯৭ সালের ১৪ এপ্রিল কুয়ালালামপুর থেকে আইসিসি ট্রফি জিতে ক্রিকেটে সেই যে ক্রেজ ছড়িয়ে দিয়েছে আকরাম খানরা, সেই ক্রেজে আজ মাশরাফিরা একটার পর একটা ইতিহাস রচনা করে চলেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্রæত উন্নতি এখন একটা মডেল। জানেন, কাকতালীয় হলেও সত্য, বাংলাদেশ নারী দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরুও কিন্তু সেই কুয়ালালামপুর থেকে। আকরাম খানদের আইসিসি ট্রফি জয়ের এক দশক পর (২০০৭ সালের ১৯ জুলাই) এসিসি ওম্যন্স ক্রিকেটের ট্রফি জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হলো মেয়েদের ক্রিকেট রেনেঁসা’র গল্প। যে খেলায় মেয়েদের ধরে আনতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বছরের পর বছর, সেই খেলায় এখন শিক্ষিত পরিবারও তাদের মেয়েকে দিতে কার্পন্য করছে না। বেড়েছে মেয়েদের অংশগ্রহণ, বেড়েছে প্রতিদ্ব›িদ্বতা। এক সময় ক্লাব ক্রিকেটে একটি ধাপে প্রতিযোগিতা আয়োজনে ক্লাব জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হতো, এখন সেখানে প্রিমিয়ার ডিভিশন ছাড়াও প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হচ্ছে নিয়মিত! নারী ক্রিকেটাররা এখন পাচ্ছে আর্থিক নিশ্চয়তা। ২০১২ সাল থেকে বিসিবি’র কেন্দ্রিয় চুক্তির আওতায় এসেছে নারী ক্রিকেটাররা। নারী প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে সালমা, রোমানাদের সম্মানীর অংক ২০১৬ সালে ছাড়িয়েছে ৫ লাখ টাকা! নারী ক্রিকেটারদের ভাগ্যোন্নয়ন এবং নারী ক্রিকেটের এই রেনেসাঁর পেছনে ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওম্যান্স ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাইয়ারকে টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন সে সময়ের ওম্যান্স উইংয়ের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানÑ ‘আইসিসি’র ঐ টুর্নামেন্টই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের মেয়েদের টার্নিং পয়েন্ট। স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে সুবিধা পাব বলেই মেয়েদেরকে নিয়ে দারুণ কিছু’র স্বপ্ন দেখেছি। ওই আসরে সেরা ৬ এ থাকতে পারলে ওয়ানডেও টি-২০ মর্যাদা পেয়ে যাব, টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে পারব, এই চ্যালেঞ্জটাই দিয়েছিলাম মেয়েদের। সে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে আইসিসি’র সেই টুর্নামেন্ট থেকেই ওয়ানডে মর্যাদা পেয়েছে মেয়েরা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার এক দশকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এশিয়ান গেমসের উপর্যুপরি ২ আসরে জিতেছে রৌপ্য পদক। টি-২০ বিশ্বকাপের সর্বশেষ ২ আসরে করেছে বাংলাদেশ নারী দল প্রতিনিধিত্ব। ইতোমধ্যে জিতেছে ২টি ওয়ানডে সিরিজ এবং একটি টি-২০ সিরিজের ট্রফি। ছেলেদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত বলেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল মাত্র ক’বছরেই এতোটা উচ্চতায় উঠে এসেছে বলে মনে করছেন ওম্যান্স উইংয়ের সাবেক চেয়ারপার্সন মনোয়ার আনিস খান মিনুÑ ‘আমাদের মেয়েরা সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ছেলেদের মতো তাদের খেলা দেখতে আসুক দর্শক, এটাই কামনা করে। ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানসিকতাতেই আজ এতো দূর আসতে পেরেছে মেয়েরা।’
তবে ছেলেদের ক্রিকেট ক্রেজ দেখে তাদেরকে অনুকরণ করতে করতেও কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ছেলেদের পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে গেছে মেয়েরা! ১৯৯৭ সালে আইসিসি’র ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়ে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জিততে বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে যেখানে ৮টি বছর, সেখানে ওয়ানডে মর্যাদা পাবার ২ বছর ৫ মাস পরই সিরিজ জয়ের উৎসব করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডেতে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে দেখেছে বিশ্ব ২০১৫ সালে। যে চিত্রটা মঞ্চস্থ করেছে মাশরাফিরা পাকিস্তানকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করে। তার এক বছর আগেই (২০১৪ সালে) পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে ২-০তে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের উৎসব করেছে সালমার নেতৃত্বাধীন দল! প্রথম ওয়ানডে জিততে বাংলাদেশ পুরুষ দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৩তম ম্যাচ পর্যন্ত, সেখানে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাাচকেই দারুণ জয়ে স্মরণীয় করেছে মেয়েরা! ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলংকার মোরাতুয়ায় প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানে অল আউট হয়ে, ৭ উইকেটে হেরেও হতাদ্যম হয়নি গাজী আশরাফুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি। সেখানে অভিষেকেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের স্কোর ২১০/৭! আজহার হোসেন সান্টুর হাত ধরে ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত প্রথম ফিফটি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ বছর। নারী দলের দুই ব্যাটার শারমীন আক্তার এবং শুকতারা সেখানে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেই উদযাপন করেছেন ফিফটি! শাহাদত হোসেন রাজিবের সাফল্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম হ্যাটট্রিকের জন্য বাংলাদেশ দলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২ দশক। সেখানে ওয়ানডে মর্যাদার ৫ম বর্ষপূর্তির আগেই রোমানা আহমেদ করেছেন হ্যাটট্রিক! বিদেশের মাটিতে দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিততে বাংলাদেশ পুরুষ দলকে যেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯ বছর, সেখানে ওয়ানডে মর্যাদার ৫ম বর্ষে এসে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে হেসেছে জাহানারার দল। ২০১৪ সালে ইনচনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পুরুষ ক্রিকেট দল যেখানে ব্রোঞ্জে থেকেছে সন্তুষ্ট, সেখানে রৌপ্য জয়েও হতাশ বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল! ফাইনালে পাকিস্তান নারী দলকে বাগে পেয়েও স্বর্ণপদক হাতছাড়া করার কষ্টে অঝোরে কেঁদেছে সালমা, রোমানারা। সেই কান্নাকে ভবিষ্যতে বড় ধরনের উৎসবে রূপ দেয়ার সংকল্প এখন নারী ক্রিকেটারদের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এক দশকেই বদলে গেছে নারী ক্রিকেটের চিত্র খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ