Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কটিয়াদী উপজেলার সেরা আকর্ষণ শাহীনশাহ, দাম ১০ লক্ষ টাকা

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ২:১৮ পিএম

এবারের কোরবানি ঈদে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সেরা আকর্ষণ শাহীনশাহ।কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চরপুক্ষিয়া(টুনিয়ারচর টাইগার মোড়)গ্রামের মৃত হাজী আঃ বারিকের ছেলে শাহাব উদ্দিন শখ করে গরুর নাম রেখেছেন শাহীনশাহ। ফ্রিজিয়ান জাতের শাহীনশাহ নামের এই বিশাল ষাঁড়টির গায়ের রং কালো সাদা মিশ্রিত,ওজন প্রায় ১ হাজার ৮০কেজি (২৭ মণ),দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।ভালো দাম পাওয়া আশায় প্রায় তিনবছর ৪ মাস ধরে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে আসছেন শাহাব উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন।চলতি বছরের ঈদুল আজহায় হাটে বিক্রি করবেন বলে আশা তার।তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানি পশুর হাট বসবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ভুগছেন তিনি।
গরুর মালিক শাহাব উদ্দিন জানান,ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেই পালিত গাভী প্রসবকৃত বাচ্চা থেকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবেই গরুটিকে লালন পালন করেছেন।শাহীনশাহকে দেখাশোনা করেন ২ জন লোক।দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি বিশালকৃতির মহিষ।উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৯ ফিট,দাত ৬টি। লম্বা ও উচ্চতা একটি মহিষের থেকেও অনেক বড়।শাহীনশাহ খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা,গমের ভুসি,মিষ্টি কুমড়া এবং সবুজ কাঁচা ঘাসসহ বিভিন্ন খাবার।তিনি আরও বলেন,ফ্যানের বাতাস ছাড়া থাকতে পারেনা ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়।বিদ্যুৎ না থাকলেও মেসির জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে।প্রতিদিন তিনবার করে গোসল করাতে হয়।গোসলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয় যাতে ঠান্ডা না লেগে যায়।মাত্র তিন বছর ৪মাসে বছরেই তিনি গরুটিকে এই উপযোগী করেছেন।তিনি আরোও বলেন,গরুটির দাম চাচ্ছেন ১০ লক্ষ তবে ৮ লক্ষ কিছু কম করে হলেও বিক্রী করে দিবেন।অনেক ক্রেতারাই ভিড় করছেন।তবে যে কেউ আসলে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনে নিতে পারবেন।মাসুদ রানা আরও বলেন,আমার এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।মনমতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব।আর যদি ভালো দাম না পাই তবে অন্য কোন বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করব।
শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী অনেক সৌখিন মানুষ।নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন-পালন করেছেন।গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে।ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে।কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে।সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই তা হলে কষ্ট কিছুটা কমবে।
শাহাব উদ্দিনের ছেলে আরমান মিয়া বলেন,এই গরুটিকে গোসল করাতে গিয়ে কষ্ট হয়নি।তার চরিত্র ছিল একেবারে শান্ত।তাকে বিক্রি করলেও বড় কষ্ট লাগবে।কিন্তু সারা জীবনত রাখা যাবেনা বিক্রি করতেই হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোরবানির পশু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ