বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ১০ হাজার পরিবহন শ্রমিক। গত এক সপ্তাহ ধরে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে পরিবহন চলাচল। বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। মেলেনি প্রয়োজনীয় সরকারি সাহায্য সহযোগিতা। পরিবহনের চাকা না ঘুরলে তাদের সংসারে চুলা জ্বলে না। এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা। খুলনা-যশোর রুটের বাস চালক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ২২ জুন থেকে পরিবহন বন্ধ। পরিবহন চললে আমরা মালিকপক্ষের কাছ থেকে বেতন পাই। পরিবহন বন্ধ থাকলে কোনো টাকা পাই না। এ কয়দিন ধারদেনা করে চলছি। এরপর কী করব তা জানি না। পরিবারে ৬ সদস্য নিয়ে খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। খুলনা-পাইকগাছা রুটের হেলপার মাসুদ ও শফিক বলেন, শুনেছি সরকার সাহায্য করছে কিন্তু সরকারি কোনো সাহায্য এ পর্যন্ত আমরা পাইনি। প্রতিদিন হেলপারের কাজ করে আমরা দুশ’ টাকা করে পাই। এছাড়া বাড়তি কিছু যাত্রী নিয়ে আরো শ’খানেকসহ মোট ৩শ’ টাকা আয় করি। এখন তা বন্ধ। খুলনা-কুষ্টিয়া রুটের ড্রাইভার আনিস জানান, বেশ ভালই চলছিল সংসার। করোনা আসার পর খুবই সমস্যায় আছি আমরা। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটায় একটি ছোট্ট জমি কিনেছিলাম। ২ মাস ধরে কিস্তি দিতে পারছি না। খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের কাউন্টারে চাকরি করা হেমায়েত হোসেন বলেন, গত ১৭ বছরে এমন দুর্যোগে পড়িনি। আল্লাহ পাক জানেন সামনে কী আছে। ধারদেনা করে সংসার চলছে। তিনি করোনাকালীন সরকারি সহায়তার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।