Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপকূলীয় জেলেদের জীবন-যাপন চলছে মহা সংকট

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ৬:৫৫ পিএম

উপকূলীয় হাজার হাজার জেলে পরিবারগুলো নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত, সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেদের জীবনে চলছে মহা সংকট। কেউ দিন মজুরি দিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছে। আবার কেউ ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছে। চরম হতাশায় ভুগছে ওইসব জেলে পরিবারের সদস্যরা।

মৎস্য অফিসের সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৩০৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। সমুদ্র সীমানায় ২০শে মে থেকে ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

জেলে মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সমুদ্রে মাছ ধরা উপর নিষেধাজ্ঞা। পুজিপাট্টা যা ছিল তা সব শেষ। ধার দেনা করে চলছি। পরিবারের খাবার জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। জেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মাছ ধরাই মোর পেশা। বাবায় মাছ ধরছে, মুইও মাছ ধরে সংসার চালাই। গত ১ বছর ধরে অনেক কষ্টে সংসার চালাই। মাছ ধরা নিষেধ থাকায় এ কষ্ট আরো বেড়ে গেল। সরকার যে চাউল দেয় তাতে আমাদের কিছুই হয় না।

আরো কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, প্রকৃত জেলেরা সরকারের দেয়া অনুদান ঠিকঠাকমত পাচ্ছেনা। জেলে না হলেও জেলে কার্ড পেয়েছে অনেকে। প্রকৃত জেলেরা যেন জেলে কার্ড পায় সেদিকে নজর দেওয়ার জোর দাবি জানান ওইসব জেলেরা। তবে তাদের অভিযোগ ৬৫ দিনের মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা মধ্যেও ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে মৎস্য বিভাগ একেবারেই চুপচাপ।

মৎস্য ব্যবসায়ী রহিম জানান, করোনার ঝামেলা, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি, মাছ ধরা বন্ধ সব মিলিয়ে জীবনে চলছে ঝড়। কোন রকমে বাইচ্চা আছি। কি করবো বুঝতে পারিনা। ধারে আর ঋণেই চলছে সংসার।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সমুদ্রে মাছ ধরা উপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এসময় সরকার যৎ সামান্য প্রণোদনা দিচ্ছে তাতে জেলের কিছুই হচ্ছেনা। তবে তিনি জেলেদের প্রণোদনা বৃদ্ধি জন্য দাবী জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, প্রকৃত জেলেদের প্রথম ধাপে ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলেকে ৫৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটুয়াখালী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ