বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহীতে এবার ৪৫ দিনের শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত রোববার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। শনিবার দুপুরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ডে) চিকিৎসাধীন।
শিশুটির নাম আফরিন রহমান। তার পরিবার রাজশাহী নগরের ছোট বনগ্রাম বড় রাস্তার মোড় এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা আরিফুর রহমান করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তিনি বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। মা মাহবুবা খাতুন একাই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছেন।
শিশুটির মা বলেন, গত রোববার তিনি রাজশাহী রেলগেট এলাকায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন, তার বাচ্চা করোনা পজিটিভ। তখনই বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাসায় থেকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন। গত তিন দিন বাচ্চার খুব সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঘুমায় না। বাধ্য হয়ে তিনি খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানকার চিকিৎসকেরা বলেন, তাঁদের হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নেই। এরপর তিনি বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শিশুটির মা মাহবুবা বলেন, বাচ্চার বাবা করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে তিনি নিজে আর করোনার পরীক্ষা করাননি। তাঁর ধারণা, তিনি এত দিনে হয়তো পজিটিভ হয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। তাই তিনি বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে পারছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, শিশুটি ভালো আছে। ১৬ নম্বর বড়দের ওয়ার্ড। শিশুদের আলাদা কোনো করোনা ওয়ার্ড নেই। আপাতত বাচ্চাটিকে এই ওয়ার্ডে রেখেই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। করোনার চিকিৎসা তো একই। বড়দের চেয়ে শিশুদের শুধু ওষুধের ডোজ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।