বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁয় লকডাউন ও বিধি নিষেধের মধ্যেও থেমে নেই মৃত্যু ও শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে আর শনাক্ত হয়েছে ১২৫ জন। চলতি জুন মাসের ২৪ জুন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে আর শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮১৮ জন।
নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অন্য মাসগুলোর চেয়ে লকডাউন ও বিধি নিষেধের মধ্যে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা অনেক বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় পাওয়া রিপোর্ট অনুয়ায়ী শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৫৬। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ০৪। চলতি মাসেই জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবার দিনে সর্বোচ্চ ২২৫ জন ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২১ জন শনাক্ত হয়েছে।
২৪ জুনে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালে এবং জেলার অন্য ১০টি হাসপাতালে ৫২ জন করোনার রোগি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। গত মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় ১০ জনের মৃত্যু আর ২৩০ জনের মতো শনাক্ত হয়েছিল। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৭২ জনের মৃত্যু রয়েছে আর মোট শনাক্ত রয়েছে ৪ হাজার ৮২ জন।
গত বছর জেলায় করোনা ২৩ এপ্রিল শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মে মাসের আগ পর্যন্ত শনাক্তের হার ছিল গড়ে ৮। গত ঈদ-উল-ফিতরের আগে মে মাসে যেখানে শনাক্তের হার ছিল গড়ে ১৮ ভাগ। ঈদের পরে মে মাসে সেটি বৃদ্ধি পায় ২৫ ভাগে। এরপর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩ জুন থেকে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় এরপর লকডাউন তুলে নওগাঁ জেলা জুড়ে ১৫ দফা বিধিনিষেধ দুই দফায় ২৩ জুন বাড়ানো হয়েছিল। করোনায় জেলায় মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা প্রশাসন নওগাঁয় বিধিনিষেধ আবারো ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
জেলায় প্রথম দফায় প্রায় ১ লাখ লোককে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় চীন থেকে পাওয়া প্রায় ১১ হাজার টিকার প্রথম ডোজ মেডিকেল,নারস ও ম্যাটস শিক্ষাথীদের দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
নওগাঁ ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানান, গত ঈদের পর মূলত: করোনার শনাক্তের হার ৩৮ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে লকডাউন ও বিধিনিষেধের সময় শনাক্তের হার নমুনা সংগ্রহের চেয়ে কমেছে। তবে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা গত মাসগুলোর চেয়ে জুন মাসে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা উদ্বিগ্নের বিষয়।
নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা: এবিএম আবু হানিফ জানান, জেলায় ৩০ লাখ লোকের মধ্যে ৮৪ ভাগই লোকই গ্রামে বসবাস করেন। জেলায় মোট শনাক্তদের মধ্যে ৫৮ ভাগই গ্রামের লোকজন। বাঁকি ৪২ ভাগ শনাক্ত হয়েছেন শহরের বসবাসরত।
নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আব্দুল বারী জানান, বর্তমানে শহরের লোকজন স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সচেতন হলেও গ্রামের লোকজনদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন নন। এছাড়াও গ্রামের লোকজনদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসতে পারায় দ্রুত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পরেছে করোনা ভাইরাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।