Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৪১০ কোটি ডলার দান বাফেটের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট সম্প্রতি নিজের ৪১০ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার দাতব্য সংস্থায় দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত বাফেট এর আগেও নিজের সম্পদের বিশাল অংশ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় অনুদান করেছেন। বুধবার তার অনুদান নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘এই অর্থ সমাজের কাজে লাগতে পারে, আমার নয়।’ একইদিন দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন-এর থেকে ট্রাস্টি হিসেবেও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, ২০০৬ সালে নিজের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে’তে তার সকল শেয়ার গেটস ফাউন্ডেশনসহ পাঁচটি দাতব্য সংস্থায় অনুদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফেট। বুধবারের অনুদানের মাধ্যমে সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে অর্ধেক পথ এগিয়ে গেছেন মার্কিন এই বিলিয়নার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৪টি শেয়ার রয়েছে তার। বুধবার এক বিবৃতিতে বাফেট লিখেন, বহু দশক ধরে নিজে যা পছন্দ করি কেবল তা করেই আমি প্রায় অচিন্তনীয় পরিমাণের সম্পদ জমিয়েছি। এতে আমার বা আমার পরিবারের কোনো ত্যাগ করতে হয়নি। মিশ্র আগ্রহ, দীর্ঘ যাত্রা, অসাধারণ সহযোগী ও আমাদের অসাধারণ দেশ তাদের ম্যাজিক দেখিয়েছে। সমাজের এই অর্থের প্রয়োজন আছে। আমার নেই। গত মার্চে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের শেয়ার ম‚ল্য রেকর্ড পরিমাণে বাড়লে এলন মাস্ক, জেফ বেজস ও বিল গেটসের পাশাপাশি ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক হয়ে উঠেন বাফেট। বিল ও মেলিন্ডা গেটসের পাশাপাশি ‘বিলিয়নার ফিলানথ্রোপি’ উৎসাহিত করা বিষয়ক প্রচারণা ‘গিভিং প্লেজ’-এর একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাফেট। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কট, যিনি নিজেও একজন বিলিয়নিয়ার। স¤প্রতি বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় ২৭০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, বুধবার বিশাল পরিমাণের অর্থ দাতব্য সংস্থায় দেওয়ার ঘোষণার পাশাপাশি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি হিসেবে সরে আসারও ঘোষণা দিয়েছন বাফেট। তিনি বলেন, এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এতে আমার সরাসরি অংশগ্রহণ থাকা জরুরী নয়। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ছাড়া অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ থেকেও ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ