বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন রোধে চলমান প্রকল্পের কাজের নির্ধারিত ঠিকাদারের নিকট চাঁদা না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কার্য সহকারী মো: শারাফত আলী (৫০)সহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আব্দুস ছালাম, সামছুল হক ও রানা মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের ভাটলার পাড় স্লুইসগেট নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, চাঁদা দাবী এবং হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ ৭/৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে জসিম উদ্দিনের মোড় থেকে ভাটলার পাড় স্লুইসগেট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার ধরলা নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। রংপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেকেআর ইউবি ২ মাস আগে কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দা শাহ জামাল, সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম ও এরশাদুলসহ ৭/৮জন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না পেলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিতে অস্বীকৃত জানালে শনিবার সকাল ১০টার দিকে মোগলবাসা বাজার সংলগ্ন ভাটলারপাড় স্লুইসগেট এলাকায় কাজ চলা কালে সন্ত্রাসীরা বাঁধা প্রদান করে। এসময় প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী মো: শারাফাত আলী বাঁধাদান কারীদের নিকট কাজ বন্ধ করার কারণ জানতে চান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ইউপি সদস্যে আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে শারাফাত আলীর উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে প্রকল্পের শ্রমিক আব্দুস ছালাম, শামসুল হক ও রানা মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাথারীভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। আহতরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, সরকারী কাজে চাঁদা দাবী, কাজে বাঁধা প্রদান ও সরকারী কর্মচারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় আমি বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো: শাহরিয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।