মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অতিসংক্রামক ডেল্টা স্ট্রেনের ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে এক নতুন অনুসন্ধান। ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, শক্তির শীর্ষে পৌঁছেছে করোনাভাইরাস। নতুন স্ট্রেন আনার ক্ষমতাও প্রায় শেষ তার।
গত দেড় বছরে ক্রমাগত মিউটেশন ঘটিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২। আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা— একাধিক ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’ তৈরি করেছে। সম্প্রতি পেরুতে ল্যাম্বডা স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে। সেটিকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব ইনটেরেস্ট’ তালিকায় নজরবন্দি রাখা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ডেল্টা। এর বেশি আর শক্তি বাড়াতে পারবে না ভাইরাস। সে-ও এ বার ক্লান্ত।
গত দেড় বছরে সার্স-কোভ-২ তার স্পাইক প্রোটিনের সজ্জাবিন্যাস ও গঠন ক্রমাগত বদলেছে এবং নতুন মিউটেটেড স্ট্রেন তৈরি করেছে। আর এ ভাবেই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে লাগাতার ধোঁকা দিয়েছে সে। নেচার-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির সঙ্গে যুক্ত অন্যতম বিজ্ঞানী তথা আমেরিকার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এরিক টোপলের কথায়, ‘সব ক’টি স্ট্রেনের মধ্যে ডেল্টাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।’ এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। কিন্তু এখানেই এর শেষ বলে মনে করছেন তারা।
এরিকের সঙ্গেই ওই গবেষণায় ছিলেন ইটালির ভাইরোলজিস্ট, পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্টো বুরিয়োনি। তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণায় যা দেখছি, তাতে বলা যায়, সার্স-কোভ-২-এর ডেল্টা স্ট্রেন খুব সম্ভবত এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে, তার স্পাইক প্রোটিনে আর মিউটেশন ঘটানো সম্ভব নয়। ছোটখাট বদলও নয়। এটাই হয়তো ভাইরাসের সর্বশেষ রূপ। বেশ কয়েক বছর পরে হয়তো সামান্য বদল হবে। যেমন ফ্লু ভাইরাসের ক্ষেত্রে হয়। তাই ফ্লু-এর টিকা নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপডেট করতে হয়।’
কিন্তু আপাতত চিন্তা ডেল্টা স্ট্রেনকে সামলানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অন্তত ৮৫টি দেশে ছড়িয়েছে ডেল্টা। আলফা স্ট্রেন মিলেছে ১৭০টি দেশে। বিটা পাওয়া গিয়েছে ১১৯টি দেশে, ৭১টি দেশে গামা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আপাতত বিশ্ব জুড়ে তাণ্ডব চালাবে ডেল্টাই। একে রুখতে হলে একমাত্র পথ টিকাকরণ। তাতেও হয়তো সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। কিন্তু মৃত্যুর মতো পরিণতির আশঙ্কা কম। টিকা নেয়া থাকলে বাড়াবাড়ি কম হবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুত টিকাকরণ সেরে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। সূত্র: গালফ টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।