নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতীয় সমর্থকদের উগ্র আচরণের কথা কে না জানে! খেলার মাঠে তাদের আচরণ সীমা ছাড়িয়ে যায় প্রায়ই। এমনকি রূপ নেয় সংঘাতে, জাতিগত আক্রমণেও। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের গ্যালারি থেকেও তাদের উগ্রবাদের কারণে দুই ভারতীয় দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছে আইসিসি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সেই ফাইনাল ঘিরে এখনও চলছে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসনকে পড়তে হল ভারতীয় সমর্থকদের অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মন্তব্যের মুখে। বিরাট কোহলিকে আউট করার কারণে ইনস্টাগ্রামে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন ভারতের কিছু সমর্থক। কারণটাও অজানা নয়, ম্যাচটি যে হেরে গেছে ক্রিকেট দুনিয়ার প্রভাবশালী এই দেশটি!
সাউদাম্পটনের ফাইনালে ভারতের প্রথম ইনিংসে কোহলিকে আউট করেছিলেন কাইল জেমিসন। এতে ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ইংলিশ পেসারের উদ্দেশ্যে তীর্যক বাক্যবাণ ছোড়েন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই জেমিসনেরই শিকার হন কোহলি। আর তাতেই তীব্র ক্ষোভ আর হিংসাত্মক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটান ‘ক্রীড়াঙ্গণের ব্যডবয়’ খ্যাত দেশটির সমর্থকরা। এবার রীতিমত বুনো আচরণ শুরু করেন ভারতের সমর্থকরা। উগ্র সমর্থকরা এবার হানা দিয়েছেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জেমিসনের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে। সেখানে জেমিসন ও তার পরিবারকে নিয়ে যাচ্ছেতাই ভাষা ব্যবহার করছেন ক্ষিপ্ত সমর্থকরা। তাদের কেউ কেউ জেমিসনকে ‘কুকুর’ এবং ‘সাপ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, রয়েছে আরও অকথ্য মন্তব্য। শুধু জেমিসনই নয়, আক্রমণ করা হয়েছে তার পরিবারকেও। তার মা ও বোনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ জেমিসনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করে দিয়েছেন তাদের ধর্ষক এর হুমকিও, যা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই আবার দাবি তুলেছেন, আইপিএলে কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সাথে জেমিসনের চুক্তিরই যেন ইতি টানা হয়।
স্বদেশী সমর্থকদের এমন আচরণ দেখে সচেতনদের কেউ কেউ আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন জেমিসনের কাছে। তবে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা হাতে নিয়ে জেমিসন যখন দেখেছেন তার ও তার পরিবারের উদ্দেশে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের এমন মন্তব্য, তখন নিশ্চয়ই সুখকর অনুভূতি হয়নি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।