পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আলোচিত রমনায় বোমা হামলা মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন সংক্রান্ত আবেদন) শুনানি আগামী ২৪ অক্টোব। গকতাল বৃহস্পতিার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের ডিভিশন বেঞ্চ এ তারিখ ধার্য করেন। এ সময় আদালত বলেন, সরকারপক্ষকে শেষ সুযোগ হিসেবে এই সময় মঞ্জুর করা হলো।
গতকাল শুনানিকালে সরকারপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আসামিপক্ষে এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগেও একাধিকবার মামলাটি হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। পরবর্তীতে আর শুনানি হয়নি। এডভোকেট শিশির মনির জানান, ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে তৎকালিন বিট্রিশ হাইকমিশনার আনোয়ার হোসেনের ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।
এছাড়া মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।
প্রসঙ্গত: ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। পরে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।