পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী (তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেতা) শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির জামিনের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত ২৬ মে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় আপিল করে। শুনানি শেষে গত ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার জাস্টিস জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে শুনানির জন্য আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। শুনানির পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার, গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত: ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গুলিও ছোড়ে। বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। এ ঘটনায় ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিচারিক আদালত এ মামলায় সাত জনকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।