নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে রেলওয়ে জমি দখল সংক্রান্ত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই সংবাদটি করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার (২১ জুন) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মোখছেদুল মোমিন বলেন, সৈয়দপুরে রেলওয়ে জমি বেদখল নিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১৯ জুন ওই সংবাদটি প্রকাশিত হয়। সৈয়দপুরে দখলের মহোৎসব শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবৈধভাবে রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। প্রকাশিত ওই সংবাদটি অসত্য, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।

তিনি দাবি করেন তার নিজের নামে কোন রেলওয়ে জমি দখলে নেই। আর বহুতল ভবন নির্মাণ করা তো দূরের কথা। এছাড়া রেলওয়ে জমির ওপর সামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নির্মাণের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় তার বাবা রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা প্রয়াত সামশুল হকের নামে সর্বদলীয় ট্রেড ইউনিয়নের সিদ্ধান্তে রেলওয়ে পোষ্যদের লেখাপড়ার জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের নামে রেলওয়ে ওই জমিটি বরাদ্দের আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরদিকে, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজটি তার জন্মের বহু আগেই রেলওয়ের জমিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এছাড়াও রেলওয়ের টি-১৪ নম্বর বাংলোর পৃথক দুইটি ইউনিট রেলওয়ে দুইজন কর্মচারী বরাদ্দ নিয়ে বৈধভাবে বসবাস করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুরে রেলওয়ে জমি বেদখল নিয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনটি মনগড়া উল্লেখ করে তিনি বলেন এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।