বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মানিকগঞ্জে এ বছর কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় হতাশ কৃষক। শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশকের অধিক মূল্য এসব পরিশোধ করে কাঁচা মরিচে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। বর্তমান হাট বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকা দরে, আর ক্রেতা পার্যায়ে ১২ থেকে ১৫ টাকা।
জানা যায়, দেশ বিদেশে মানিকগঞ্জের মরিচের বেশ সুনাম রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ব্যাপক চাহিদাও। চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে জেলার সর্বত্রই চাষ হয়ে থাকে মরিচ। বিশেষ করে ঘিওর, শিবালয় সাটুরিয়া ও হরিরামপুর উপজেলায় মরিচ চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। জেলার উৎপাদিত মরিচ দেশব্যাপী সরবরাহের জন্য বরংগাইল, ঝিটকা, বাঠইমুড়ী, সাটুরিয়া, ভাটবাউর, জাগীরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচ ক্রয়-বিক্রি হয়।
জেলার সবচেয়ে মরিচের আড়ত বরংগাইল হাটের আড়তদার মো. আতোয়ার রহমান জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৭ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টন মরিচ ক্রয়-বিক্রি হয়ে থাকে। তিনি আরো জানান, দেশের অন্যান্য মোকামগুলোতেও মরিচের প্রচুর সরবারাহ থাকায় দাম কম। ফলে আমাদের আড়ত খরচও উঠছে না। বাঠইমুড়ি বাজারের আড়তদার মো. হুজুর আলী জানান, গত মঙ্গলবার তিনি ৭ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছেন। এই মরিচ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা গাড়ি করে ঢাকায় নিয়ে যাবে। তবে, দাম কম থাকায় আড়তদারীরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না।
হরিরামপুর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মরিচচাষি মো. সোহরাব হোসেন জানান, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। বাজারে মরিচের ভালো দাম থাকলে দেড় লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করা যাবে। কিন্তু বাজারে যে দাম তাতে খরচ উঠবে কিনা জানি না। ঘিওর উপজেলা বাঠইমুড়ি গ্রামেরচাষি সাইজুদ্দিন জানান, এবার ১ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। শ্রমিকের মজুরি, সার, বীজ, কীটনাশকসহ অন্যান্যসহ খরচ হয়েছে দশ-বারো হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ২০ মন মরিচ বিক্রি করেছি। তিনি আরো জানান, ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি মচির তুলতে শ্রমিককে দিতে হয় হয় ৫ টাকা আবার রিকশা ভাড়া দিয়ে আড়তে আনতে হয়। বাজারে মরিচের যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ উঠবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানান, জেলায় এ বছর কাঁচা মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৯৯০৮ হেক্টর। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। করোনার কারণে বিদেশে মরিচ রফতানি বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মরিচচাষিরা অধিক লাভবান হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।