রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চৌগাছা (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা
যশোরের চৌগাছায় খাদ্য গুদামে ধান রাখার জায়গা না থাকায় সরকারিভাবে বোর ধান ক্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে না পেরে ধান নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। বর্তমানে গুদামে জায়গা না থাকায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ধান ক্রয় সাময়িক বন্ধ রেখেছেন। ধান ক্রয় বন্ধ থাকায় প্রান্তিক কৃষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর সরকারি খাদ্য গুদামে ১ হাজার ৯৫৩ টন বোর ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। চৌগাচায় সরকারিভাবে বোর ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য গুদামে ১৫০ টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার কৃষিবান্ধব নানামুখি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। যার অংশ হিসেবে প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত ধান ন্যায্য মূল্যে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে সংগ্রহ করছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার কার্ডধারি প্রান্তিক কৃষকদের নামে তালিকা ইতিমধ্যে কৃষি অফিসের মাধ্যমে খাদ্য কর্মকর্তার নিকট পৌঁছানো হয়েছে। এ তালিকা অনুযায়ী কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে পারবেন। এ বোর ধান সংগ্রহ কাজ গত ১ জুন থেকে শুরু হয়েছে এবং ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এ বছর সকার ২৩ টাকা কেজি ও ৯২০ টাকা মন দরে ধান ক্রয় করছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ থেকে ৬৫০ টাকা। সরকারি গুদামে ৫শ’ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাত্র ২টি গুদাম রয়েছে। গুদামে জায়গা না থাকায় লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের আগেই খাদ্য গুদামে বোর ধান সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে গম, চাউল, ধান, নতুন ও পুরাতন বস্তাসহ ফাইলপত্রাদির স্তুপে ১১২৫ টন ৪৩২ কেজি মালামাল জায়গা দখল রয়েছে। যা গুদামের ধারণ ক্ষমতার চাইতে অনেক গুণ বেশি। অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন গুদামে ধান দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সোনালী ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলে ২/৩ দিন সময় লাগছে। গুদামে জায়গা না থাকায় ধান নিচ্ছেন না। কৃষি অফিস থেকে কৃষকের তালিকায় নাম দিচ্ছেন না কৃষি কর্মকর্তারা। এ ব্যপারে সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জানান কৃষি হিসাব খুলতে ২/৩ দিন দেরি হওয়ার কোন সুযোগ নেই কারণ কৃষকরা আসলে আমি নিজে তাদের হিসাব খুলে দিচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দীন জানান, কার্ডধারি ধান চাষিদের সকলের তালিকাই নাম রয়েছে। যদি কোন কৃষক ধান চাষ না করে তার নাম তালিকায় কেন দেব? উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা বলেন গুদামের ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি ধান ইতিমধ্যে ক্রয় করা হয়েছে। জায়গা না থাকায় ২/৩ দিন ধান ক্রয় বন্ধ রয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও মিলারদের ধান দিতে পারলে জায়গা বেরিয়ে আসবে। তিনি আরো জানান উপজেলার এ গুদাম দুটি চাহিদার তুলনায় অনেক ছোট। এখানে ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি গুদাম নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ মাটি পরীক্ষা ও বাজেট হয়ে পড়ে আছে। সেটি নির্মাণ হলে এ সমস্যা থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।