Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিষিদ্ধ হচ্ছে ‘পঙ্খিরাজ’

অস্বাভাবিক গতির জন্য আহত হয়েছেন রাজধানীর অসংখ্য মানুষ  ২০১৭ সালে হাইকোর্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশনা দেন  এসব যানবাহন বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করবে : স্বরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

অবশেষে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানের রাজধানীতে চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। চালকরা তিন চাকার এই যানবাহনের নাম দিয়েছেন ‘পঙ্খিরাজ’। ২০১৭ সালে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা (পঙ্খিরাজ) বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশনা দেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন অলিতে-গলিতে চলছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা। এখন রাজধানীর মূল সড়কেও এই রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। যার ফলে যানজট ও লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এই বাহনে চড়ে দুর্ঘটনায় হাত-পা হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান চলাচল বন্ধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলে আসছে। প্যাডেলচালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন, সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রাজধানীর শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, রায়েরবাগ, মোহাম্মদবাগ, ধোলাইপাড়, কদমতলী, খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরা, বনশ্রী, মাদারটেক, মান্ডা, ডেমরা, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরলে অনেক মানুষ চোখে পড়বেÑ যাদের কারো হাত ভাঙা, কারো পা ভাঙা। এই মানুষগুলো কার্যত ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে দুর্ঘটনায় এসব অঙ্গ হারিয়েছেন। কারণ প্যাডেলচালিত রিকশায় ব্যাটারি লাগানোয় রিকশার গতি বেড়ে যায়। কিন্তু প্যাডেলচালিত রিকশার গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতি হওয়ায় ছোট যানবাহনগুলো অহরহ দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে যাত্রীদের এভাবে ছোট দুর্ঘটনায় অঙ্গ হারাতে হয়। শুধু তাই নয়, প্যাডেলচালিত রিকশার চেয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার গতি বেশি হওয়ায় পথে অন্যান্য যাবনহানের জন্যও দুর্ঘটনার কারণ হয়। রাজধানী ঢাকা শহরের আশপাশের গ্রাম ও শহরের মহল্লাগুলোতে প্রায় অভিন্ন চিত্র। প্রতিটি মহল্লায় ব্যাটারিচালিত রিকশা দৌরাত্ম বেড়ে গেছে।

এ ছাড়াও রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, বর্তমানে ঢাকায় চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও প্রায়ই লোডশেডিং হয়, যার মূল কারণ রিকশার ব্যাপাটি চার্জের অবৈধ সংযোগ। প্রতিটি রিকশা বৈদ্যুতিক খরচ বাবদ মাস প্রতি গুনতে হয়Ñ ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। আর এই সকল বৈদ্যুতিক লাইন অবৈধ হওয়ায় লোডশেডিংয়ে ভুগতে হয় নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা গ্রাহকদের। অথচ টাকা নেয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মরতরা। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা হলেও আবারো তা চালু হয়ে যায়। স্থানীয় রিকশা মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর অলিতে-গলিতে চলাচল থাকলেও শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেই ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা লাখের বেশি। আর রাজধানীজুড়ে এ ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নগর ভবনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ‘ব্যাটারিচালিত কোনো যান আর সড়কে চলবে না ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ওই ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ‘পঙ্খিরাজ’ নামে পরিচিত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রাজধানীর মানুষের জীবনকে সহজ করার বদলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো জটিল সমস্যার সৃষ্টি করছে। নিয়ন্ত্রণহীন গতি এবং চালকদের বেপরোয়া আচরণ এবং হর্নের মাধ্যমে শব্দদূষণের কারণে বেশ সমালোচিত এই যানবাহনের কদর বেড়েছে দ্রুতযান ও ভাড়া কম হবার কারণে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ছত্রছায়ায় রাজধানীতে এখনো চলমান, এই রিকশাগুলোর নিয়ন্ত্রণ ‘মহাজনদের’ হাতে। স্থানীয় থানা পুলিশ মাসোহারা চাঁদা নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দিচ্ছেন।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইজিবাইক যথেষ্ট পরিমাণ এসে গেছে। ছোট ছোট গলিতে এগুলোর চলার কথা ছিল, প্রথমে সেভাবেই আসছিল। কিন্তু এরা সর্বত্র বিচরণ করছে। কমিশনার (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার) জানিয়েছেন, ১৩ হাজার মোটরচালিত রিকশা-ভ্যান আমরা ধ্বংস করেছি। ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যাতে তারা তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হতে না পারে। হাইওয়েতে কিংবা বড় রাস্তায় না আসতে পারে। ক্রমান্বয়ে আমরা এটাও বন্ধ করে দেব। তিনি আরো বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব, আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি সারা দেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পেছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। প্যাডেলচালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন, সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আজকের সভায় নেয়া হয়েছে।

ইজিবাইক, নছিমন, করিমনের জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। এগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্তÑ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নছিমন, করিমন, ভটভটি বিভিন্ন শহরে অটোরিকশা চলছে। আমরা সব জায়গায় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রাম-গ্রামান্তরে সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে। হাঁটা কিংবা সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা ছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। সেজন্য নছিমন, করিমন পণ্য পরিবহন কিংবা যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটা নিয়েও আলোচনা হবে। খুব শিগগিরই এটাকে পরিমিত করা এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায় কি-নাÑ সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা সেখানেও কাজ করব।

সভায় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙা, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা সশরীরে ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • parvez ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৩ এএম says : 0
    egulo ki korona choray, ze lac lac loker pete lathi marte hobe ?
    Total Reply(0) Reply
  • Rakib Hasan ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৩ এএম says : 1
    খুবই বিরক্তিকর ব্যাটারিচালিত রিকশা গুলো, বন্ধ করা উচিত, তবে প্রতিবন্ধি এবং দুর্বল ব্যক্তি যেন চালাতে পারে তার ব্যবস্থা করা হউক
    Total Reply(0) Reply
  • Aminur Amin ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৩ এএম says : 0
    এক কথায় অমানবিক।পুঁজিবাদ মানেই সবকিছুতে তাদের একচ্ছত্র অধিকার।সেখানে সমাজের নীচুতলার মানুষগুলো কিভাবে ভালো চলবে সে নিয়ে কোনও দিকনির্দেশনা নেই।উনারা এখন প্রাইভেট কার নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে তাই ইন্জিন চালিত রিক্সা ব্যবহার করলে উনাদের ব্যবসায় লাল বাত্তি জ্বলবে সে জন্যই এ উদ্যোগ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shablu Barua ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৪ এএম says : 0
    অমানবিক একটি যানবাহন হলো রিক্সা। একজন সমস্ত শক্তি দিয়ে চালান, আর একদল রিক্সায় বসে মজা করেন। প্যাডেল চালিয়ে যিনি রিকসা চালান তিনিই জানেন রিক্সা চালানো কত কষ্টের কাজ। বাংলাদেশের সব রিক্সা মোটরচালিত হোক। রিক্সাচালক মানুষগুলো কিছুটা হলেও শারীরিক শক্তি পেয়ে দিন কাটাক।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Ahad ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৪ এএম says : 0
    অনেক যন্ত্রণা করছে ব্যাঠারী চালিত রিকশা গুলি, খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন ইজিবাইকের একটা কিছু করুণ ইজিবাইক অনেক বেড়ে গেছে রাস্তা ঘাটে এঁদের জন্য অনেক জ্যাম লাগে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ab shagor_ ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৪ এএম says : 0
    শারীরিক ভাবে এমন অনেক দূর্বল মানুষ আছে যারা পা দিয়ে রিক্সা ভ্যান চালাতে অক্ষম। তাছাড়া পা দিয়ে রিক্সা ও ভ্যান চালানো অনেক কষ্টের, একটা ভাড়া শেষ করে ২য় ভাড়া টানা অনেক খাটুনি। এসব বন্ধ না করে দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিকল্প ও উন্নত ব্রেক সিস্টেম বের করা যেতে পারে। সর্বোপরি তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু বিশদভাবে ভাবতে হবে।
    Total Reply(1) Reply
    • প্রবাসী-একজন ২১ জুন, ২০২১, ৮:২৩ এএম says : 0
      আপনি ঠিকই বলেছেন; এগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কারিগরি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। গরীব মানুষগুলোর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে তাড়াহুড়া করে এগুলো বন্ধ করা ঠিক হবে না।
  • Dipta Sarker ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৫ এএম says : 0
    খুব ভাল সিদ্ধান্ত,, এদের যন্ত্রনায় রাস্তায় বের হউয়া মুশকিল তো বটেই,, বাসায় থাকা কষ্ট, কর্কশ ইলেক্ট্রিক হর্ন দিয়ে ইচ্ছা মত শব্দ দূষন করে করে। অনিয়ন্ত্রিত গতি,, খুবই খারাপ অবস্থা,,, প্লিজ কিছু করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Alinur Rahman ২১ জুন, ২০২১, ৫:২৫ এএম says : 0
    আমি অত গভীরে ভাবছি না। কিন্তু ব্যাটারি চালিতো ভ্যান রিকশা কিছু প্রতিবন্ধী বা বৃদ্ধ মানুষের আয়ের মাধ্যম ছিল। এটা তুলে দিলে অনেক মানুষ ই আয়হীন হয়ে পড়বে, যারা হয়তো বিকল্প কিছু করারও সুযোগ পাবে না। তাদের পুনর্বাসনে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে এই সিদ্ধান্ত ভোগান্তিই বাড়াবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Habibul Islam ২১ জুন, ২০২১, ৬:৪৬ এএম says : 0
    শারীরিক ভাবে এমন অনেক দূর্বল মানুষ আছে যারা পা দিয়ে রিক্সা ভ্যান চালাতে অক্ষম। তাছাড়া পা দিয়ে রিক্সা ও ভ্যান চালানো অনেক কষ্টের, একটা ভাড়া শেষ করে ২য় ভাড়া টানা অনেক খাটুনি। এসব বন্ধ না করে দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিকল্প ও উন্নত ব্রেক সিস্টেম বের করা যেতে পারে। সর্বোপরি তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু বিশদভাবে ভাবতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • M a Hamid ২১ জুন, ২০২১, ৮:৫২ এএম says : 0
    মহামান্য হাইকোর্টের আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে অবাধে চলছে অটোরিকশা l এই অবৈধ অটোরিকশা গুলোতে আবার বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে l আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করো না গেলে দেশে দুর্নীতি দমন যাবে না lসরকারকে এক্ষেত্রে আরও কঠিন ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে l যারা এসব দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত সরাসরি তাদের তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না l
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ