Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উরি সেনাঘাঁটির নিরাপত্তায় গলদ ছিল

বিষয়টি সংবেদনশীল, এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলা যাবে না : ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহরের স্বীকারোক্তি

প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের উরিতে সেনাঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাঁক থাকার কথা স্বীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর। তবে বিষয়টিকে সংবেদনশীল উল্লেখ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে উরি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, কোথাও তো ভুলত্রুটি ছিলই। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। কারণ, বিষয়টি সংবেদনশীল। তিনি আরো বলেন, যখন কোনোকিছুতে ভুল হয় তখন সকলেরই লক্ষ্য থাকে যেন দ্বিতীয়বার সে রকমটা না ঘটে। কোথায় ভুল হয়েছে তা প্রথমে খুঁজে বের করব। তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব, যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি। শুক্রবার থেকে কোজিকোড়ে শুরু হচ্ছে বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠক। তাই এই  বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের সভাপতি অমিত শাহও। উরির ঘটনার পর বিজেপির মধ্যেও দাবি উঠেছে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দেয়ার। এই পরিস্থিতিতে জবাব কী হবেÑ তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। উরির ঘটনার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই গোয়েন্দারা মনে করছেন, অন্তর্ঘাতের কারণেই কার্যত বিনা প্রতিরোধে হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকতে পেরেছিল। ঘাঁটিতে থাকে বা যাতায়াত করেÑ এমন কেউ সাহায্য করেছে হামলাকারীদের। সেই সাহায্যকারী কেবা কারা তার খোঁজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সেনাঘাঁটির পেছনের দিকে দুটি জায়গায় লোহার তারজালি কেটে ভেতরে ঢুকেছিল চার হামলাকারী। এরপর কীভাবে ১৫০ মিটার ভেতরে কোনো বাধা ছাড়াই ঢুকে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেদিন ঘাঁটিতে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘায়েল করে একেবারে বেছে বেছে হামলা চালায় হামলাকারীরা। অফিসারদের মেস ছাড়াও অস্থায়ী তাঁবুতে থাকা সেনারা ছিল মূল নিশানা। যাতে তারা তাঁবুর বাইরে বের হতে না পারেন সেজন্য পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড ছুঁড়ে ডিজেল ভা-ারে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের রক্তের নমুনা ও ডিএনএ স্যাম্পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। হামলাকারীদের কাছে থাকা যেসব একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়েছে তা কোন দেশে বানানো সেই ছাপ অনুপস্থিত বলে জানিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ওই ছাপ ঘঁষে তুলে দেয়া হয় যাতে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলা না যায়। তবে হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খাবার, ওষুধ, সিরিঞ্জ পাকিস্তানে তৈরি। পঠানকোট, উধমপুর আর উরিÑ এসব হামলায় হামলাকারীরা একই ধরনের কিট ব্যবহার করছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামলাকারীদের যে হ্যান্ডসেটটি পাওয়া গেছে, সেই ধরনের একটি হ্যান্ডসেট গত জুলাই মাসে আটক বাহাদুর আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। যার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বার কন্ট্রোল রুম আলফা-থ্রির সরাসরি যোগাযোগ ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর আরো বলেন, আমরা সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। এটা কথার কথা নয়। একে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারত হামলা চালালে পাকিস্তান পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে ইসলামাবাদ যে হুমকি দিয়েছে তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি পারিকর। এ সম্পর্কে তার মত, শূন্য পাত্রই আওয়াজ করে বেশি। এনডিটিভি, পিটিআই, এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উরি সেনাঘাঁটির নিরাপত্তায় গলদ ছিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ