নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়টা যেন দূর আকাশের তারাই হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার জন্য। অবশেষে সে ভুলতে বসা জয়ের স্বাদ পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। কোপা আমেরিকায় গতপরশু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে উঠে এসেছে প্রতিযোগিতার এ গ্রুপের শীর্ষেও।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য চালকের আসনে ছিল আর্জেন্টাইনরা। তৃতীয় মিনিটে মার্কাস আকুনার শট থেকে আক্রমণের শুরু। এরপর ষষ্ঠ মিনিটে আরও একটা আক্রমণ করেছে আলবিসেলেস্তেরা, কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। গোল আসেনি পরের আক্রমণেও। লিওনেল মেসি তার ট্রেডমার্ক বাঁকানো শট করেছিলেন দূরের পোস্টে, কিন্তু উরুগুয়ে গোলরক্ষক ফের্নান্দো মুসলেরা ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সে চেষ্টা। ফিরতি সুযোগে লাওতারো মার্টিনেজ যে গোল পাননি সেটাই বিস্ময়। উরুগুয়ে রক্ষণ তো বটেই, গোলরক্ষক মুসলেরাও তখনো নিজেকে গুছিয়ে আনতে পারেননি। সেই সুযোগটা নিতে পারেননি ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার, শটই করতে পারেননি ঠিকঠাক।
শুরুর মিনিট থেকেই জয়েরক্ষুধায় মরিয়া আর্জেন্টিনা জানান দিচ্ছিল, জয়ের জন্যে হন্যে হয়েই মাঠে নেমেছে দলটি। সেটা অবশ্য খেলোয়াড়দের ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। প্রথম গোলটাতেই যেমন, ধীরে সুস্থে রদ্রিগো দি পল নিয়েছিলেন ছোট কর্নার, বল দিয়েছিলেন মেসিকে। সেখান থেকে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ক্রস আর গিদো রদ্রিগেজের গোল, আকাশী নীল জার্সিতে যা তার প্রথম গোলও!
এর আগ পর্যন্ত ছন্নছাড়া উরুগুইয়ানরা এর পর কিছুটা গুছিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে অবশ্য খুব একটা পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি। ম্যাচের আধঘণ্টামতো গিয়েছে তখন, সে সময়ই একটা ভুল করে বসেছিলেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকলাস অটামেন্ডি। এডিনসন কাভানিকে রুখতে গিয়ে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তার পথে, রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে বলে সে যাত্রায় পেনাল্টি পায়নি উরুগুয়ে।
বিরতির আগে আরও একটা পেনাল্টির আবেদন উঠেছে। কাভানির শটই ঠেকিয়েছিলেন গিদো রদ্রিগেজ, সে যাত্রায় আবেদন ছিল হ্যান্ডবলের। সেটাও ম্যাচের ব্রাজিলিয়ান রেফারি নাকচ করে দিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই। এরপর রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুরের শট বেরিয়ে গেছে লক্ষ্যের একটু বাইরে দিয়ে। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির শিষ্যরা।
বাতাসে ভাসানো বলে আর্জেন্টাইন রক্ষণের দুর্বলতাকে দ্বিতীয়ার্ধে কাজে লাগাতে চেয়েছিল উরুগুয়ে। লক্ষ্য ছিল ক্রস থেকে গোল আদায়। দারুণ সুযোগও সৃষ্টি করছিল দলটি। ৫০ মিনিটে ফেদে ভালভার্দের ক্রস আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দারুণ দক্ষতায় আয়ত্বে নেন। ৬৯ মিনিটের আক্রমণে অবশ্য তা পারেননি। মাতিয়াস ভিনা ক্রস করেছিলেন বক্সে, কিন্তু তা কাভানি আর লুই সুয়ারেজ, দুজনকে ফাঁকি দিয়েই চলে যায় মাঠের বাইরে।
গোলের পর থেকেই কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে চলে যাওয়া আর্জেন্টিনা শেষ দিকে আবারও আক্রমণে উঠেছে বেশ কয়েকবার। মেসি বেশ কয়েকবার ঢুকতে চেষ্টা করেছেন উরুগুয়ে বিপদসীমায়, কিন্তু উরুগুয়ের দক্ষ রক্ষণভাগ সেটা ঠেকিয়েছে ভালোভাবেই। তবে সুয়ারেজ কাভানিদের আক্রমণেও ওঠা হয়নি তেমন। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
এদিকে একই গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে জয়ে ফিরেছে চিলিও। বলিভিয়াকে তারা হারিয়েছে ১-০ গোলে। এর ফলে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষে থাকা দুটি দলেরই সমান ৪ পয়েন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।