Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতায় গেলে ইরাকের সব তেল নিয়ে নেব

কারো বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া মানে তাকে সর্বস্বান্ত করে দেয়া : ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতায় গেলে ইরাকের সব তেলসম্পদ নিজেদের করে নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট (আইএস) অধিকৃত এলাকার তেলও নিজেদের করে নিবেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সম্প্রতি এ ধারণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতে, এটা কেড়ে নেওয়া না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ব্যয়ের পরিবর্তে অর্জন। চলতি মাসেই ট্রাম্প একটি অনষ্ঠুানে জানিয়ে দিয়েছেন, ইরাক যুদ্ধের বিনিময়ে প্রাপ্তি হবে তাদের তেলসম্পদ। তিনি বলেন, আমরা গেলাম। খরচ করলাম তিন ট্রিলিয়ন ডলার। হারালাম হাজার হাজার জীবন আর এরপর কী ঘটবে আমরা কিছু না পেলে। আপনারা জানেন, জয়ী হওয়া মানে প্রতিপক্ষকে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া।
ট্রাম্প বলেন, আইএসের কাছ থেকে তেল কেড়ে নিলে সুবিধাটা হচ্ছে এরা আর নিজেদের চালাতে পারবে না। আর ইরাকের ব্যাপারে ট্রাম্পের এক কথা, আমি এভাবে ইরাকের তেল ফেলে রাখতে পারি না, তা চলে যাবে ইরানের কাছে। বেশ খোলাখুলিভাবেই নিজের মত ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন এ রিপাবলিকান। আর এ মতের কারণেই সমালোচনার তীর ছুটে যাচ্ছে ট্রাম্পের দিকে। নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না আন্তর্জাতিক বিষয় ও কৌশল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি কোর্ডসম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আপনি নাগরিকের সম্পদ নিজের আয়ত্বে আনতে পারেন না। আর এটা হলে তা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে। তিনি আরো বলেন, তেল রপ্তানি করাই ইরাকের একমাত্র উপার্জনের উপায়। খরচ করতে হবে আরো অর্থ, সেনাবাহিনী রাখতে হবে, তৈরি করতে হবে ঘৃণার পরিবেশ, যা আগেও করা হয়েছিল। এটা হবে নব্য-উপনিবেশের সবচেয়ে বাজে ধরন। কাজটা ব্রিটেনও করেনি। আ ডিক্লারেশন অব এনার্জি ইনডিপেনডেন্স বইয়ের লেখক জে হেকস মনে করেন, ট্রাম্পের এ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কেবল শত্রু সংখ্যাই বাড়াবে। তিনি বলেন, ইরাকের তেলে হাত দেওয়া কেবল নতুন শত্রুই বাড়াবে। মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ব্যয় কমানোর পরামর্শও দেন তিনি।
অন্যদিকে, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখনকার আফ্রিকান আমেরিকানরা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মন্তব্য করে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিক দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি বলছে, গত মঙ্গলবার কেনানসভিলে প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের নগরীগুলো পুনর্নির্মাণ করতে যাচ্ছি। কারণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের বর্তমান আফ্রিকান আমেরিকান সম্প্রদায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। আমাদের নগরীগুলোর দিকে তাকান, সেখানে আপনি শিক্ষা পাবেন না, চাকরি পাবেন না, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতেই আপনি গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়বেন। তারা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আমি সত্যিই বলছি, আমাদের কয়েকটি নগরীর তুলনায় আফগানিস্তানের মত জায়গাও অনেক বেশি নিরাপদ। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের দাসত্ব এবং বৈষম্যের যে ইতিহাস রয়েছে সেই বিষয়ে ট্রাম্পের বিবেচনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জনমত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখনো বেশ কম আর তা ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে। সেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, আপনার হারানোর কী আছে? আফ্রিকান-আমেরিকানরা দারিদ্যের মধ্যে বসবাস করে। তাদের বিদ্যালয়গুলোও ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। চলতি বছরের ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সূত্র : দি গার্ডিয়ান, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • কারিম ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৩:২৯ পিএম says : 0
    ট্রাম্পএর ডিএনএ পরিখ্যা করা দরকার। সম্ভবত: এলোকের সাথে আমাদের গ্রহের কোন মানবগোত্রের সংগে মিল খুজে পাওয়া যাবেনা। বিগ্গানিরাও গবেষনার নতুন উত্স পাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষমতায় গেলে ইরাকের সব তেল নিয়ে নেব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ