বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন হাওলাদার। তিনি অভিযোগ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ তাকে এমপির বাস ভবনে ডেকে নিয়ে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আ স ম ফিরোজের ভাতিজা ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা আলকাস মোল্লাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে বলেন। তিনি এতে রাজী না হওয়ায় নেতাকর্মীদের সামনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। ২১ তারিখ নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশংকা জানিয়ে আমির হোসেন নির্বাচন সুষ্ঠুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে মোট চার প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন দীর্ঘ ৭০ বছরের জীবনে জ্ঞান হওয়ার থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত । ১৯৯২ সালে বাউফল সদর ইউনিয়নের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এর পর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে দীর্ঘ বছর আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করে আসছি। তিনি বলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় লাভের পর থেকে অদ্য পর্যন্ত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নকে একটি মগের মুল্লুকে পরিণত করেছেন আ স ম ফিরোজের ভাতিজা আলকাস মোল্লা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের দফায় দফায় হামলা করে চলছে আলকাস মোল্লার কর্মী সমর্থকরা।
আমির হোসেন হাওলাদার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,সারা জীবন নৌকার জন্য কাজ করেছেন। তার নেতা ছিলো আ স ম ফিরোজ। কিন্তু চলতি নির্বাচনে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দেয়ার পরও আ স ম ফিরোজ তার বিরোধীতা করছেন। তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে চাপ প্রয়োগ করছেন। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে অস্বীকার করলে নেতা কর্মীদের সামনে তাঁকে অপমান অপদস্থ করছেন। এ সব কিছু জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন,চন্দ্রদ্বীপে সুষ্ঠু ভোট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সেখানে হাজার হাজার নৌকার ভোটার রয়েছে। তারা যেন নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট প্রদান করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ মোবাইল ফোনে জানান,তার বিরুদ্ধে এটি ষড়যন্ত্র। আমির হোসেন নির্বাচিত হলে তিনি সবচেয়ে খুশি হবেন। তাঁকে যারা হেয় করতে চায় তারাই প্রকৃত পক্ষে ছোট হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।