পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমের বড় হাট বসে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সাপাহারে। ভরা মৌসুমে সেখানে উঠেছে প্রচুর আম। কিন্তু করোনার কারণে ক্রেতা নেই। ফলে দাম নেই আমের। এতে খরচও উঠছে না আম চাষি ও বাগান মালিকদের। চাষিরা বলছেন, এ মুহূর্তে বাজার ভরা আমে। করোনার কারণে বাইরের ক্রেতা না আসতে পারছে না। এ সুযোগে স্থানীয় ফড়িয়ারা যারা অন্য সময়ে অন্য জেলার বাইরে ক্রেতাদের কমিশনের বিনিময়ে আম কিনে দিতে সাহায্য করেন তারাই এবার আম বাজারগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন। তারা চাষিদের কাছে কম দরে কিনে উচ্চমূল্যে বাজারে আম বিক্রি করছেন। কৃষক আমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লাভ দূরের কথা, খরচই উঠছে না।
জানা গেছে, চলতি বছরে এই উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ মেট্রিক টন। প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকার আম বাণিজ্য হতে পারে এই আমবাজার থেকে। কিন্তু চলমান সময়ে আমের বাজারদর নিম্নমুখী হবার ফলে অনেকটাই হতাশার বীজ বপন হয়েছে আমচাষিদের মনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরেজমিনে আমবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সারি করা ভ্যানের উপর নানা জাতের আমের পসরা নিয়ে বসে আছেন আম বিক্রেতারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত হলো ল্যাংড়া, নাগফজলী, হিমসাগর, আম্রপালি অন্যতম। আম কেনার জন্য বাইরের ফড়িয়ারা থাকলেও ক্রেতারা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। প্রতিমণ ল্যাংড়া বিক্রয় হচ্ছে ৮শ’ থেকে ১২শ’, নাগফজলী ১ হাজার থেকে ১২শ’, হিমসাগর ১৫শ’-১৭শ’, আম্রপালী ২ হাজার থেকে ২৪শ’ টাকা। চলতি বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলছেন আম বিক্রেতারা।
জেলার বিখ্যাত জাতের আম আম্রপালি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত সময় ২২জুন আম্রপালী জাতের আম বাজারজাত করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের অনুমতিক্রমে পরিপক্ক আম বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। গত বছরে আম্রপালি জাতের আম সন্তোষজনক মূল্যে বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই এই প্রজাতির আমের বাজার মূল্য দেখে অনেকটা হতাশ আম বিক্রেতারা।
আম বিক্রয় করতে আসা চাষি শাহীন হোসেন জানান, প্রায় ১০ মণ ল্যাংড়া আম বিক্রয় করতে এসেছি। আমার আমের কালার একটু খারাপ থাকার জন্য প্রতিমণ আম বিক্রয় করলাম সাড়ে ৭শ’ টাকা । অথচ এই জাতের আম গত বছরে ২ হাজার ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রয় করেছি। এভাবে বাজারদর কম থাকলে আমরা সার বিষের দোকানের বাকি পরিশোধ কিভাবে করবো আর সংসার চালাবো কিভাবে। আরেকজন আম বিক্রেতা বলেন, এই বছরে আমের দাম নেই। কম করে আম বিক্রি করতে আসলে অনেক সময় ভ্যান ভাড়া দিতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।