পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধূমপান বন্ধে তামাক চাষ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মুজিব বর্ষ ও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় এ সুপারিশ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে অনলাইনে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ন্যাশনাল প্রফেসর ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. আবদুল মালিক এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার প্রমুখ।
লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন-প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭ হাজারের বেশি ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৭০টি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী। বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া নারী, শিশু’সহ অধ‚মপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, ক্রনিক লাং ডিজিজ’সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে বছরে পৃথিবীতে ৮০ লক্ষাধিক ও বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়া সরকার তামাক খাত থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তার চাইতে অনেক বেশি অর্থ তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় করতে হয়।
বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও অকালমৃত্যু প্রতিরোধে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তামাক যেহেতু মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে- তাই তামাকজনিত অকালমৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণেও সরকার সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসডিজি অর্জনের বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ৭ম ও ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান স্পিকার সামিটে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রণয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে অবশ্যই তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী।
মো. আলী নূর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগও সক্রিয় থাকবে। এজন্য মেডিকেল শিক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।