Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার ৪ কোটির বেশি প্রাপ্তবয়স্ক

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। তামাকের পরিবেশগত ক্ষতির একটি বড় কারণ পরোক্ষ ধূমপান। বাংলাদেশের ৪ কোটিরও অধিক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। যার সিংহভাগই নারী। আচ্ছাদিত কর্মস্থলে এবং গণ পরিবহণে যাতায়াতের সময় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়, এমন ব্যক্তির সংখ্যা যথাক্রমে ৮১ লাখ এবং ২ দশমিক ৫ কোটি।
ঢাকা শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় শতকরা ৯৫ ভাগের মুখের লালাতে উচ্চ মাত্রায় নিকোটিন পাওয়া গেছে। যা মূলত পরোক্ষ ধূমপানের ফল। পরোক্ষ ধূমপান মৃত্যু ঘটায় এবং হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসারের মত মারাত্মক রোগের অন্যতম কারণ।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাকের ব্যবহারে হার্ট এটাক, করোনারি হার্ট ডিসিস, স্টোক হয়। ধূমপান ডায়াবেটিসেরও কারণ। যাদের সন্তান হচ্ছে না তাদের ধূমপান বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের শাস্তির বিধান জরিমানা আছে। কিন্তু তার প্রয়োগ হলে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য হলেও তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তামাক ও সিগারেট ব্যবহারে পরিবেশ নষ্ট হয়। সিগারেটের ফিল্টার মাটির ঊর্বরতা নষ্ট করে।
তামাক চাষ, তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার এবং তামাকের বর্জ্য পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্ব তামাক মুুুুুুক্ত দিবস পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘টোব্যাকো: থ্রেট টু আওয়ার এনভায়রনমেন্ট’। তবে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে।
বাংলাদেশেও সিগারেটের ফেলে দেয়া ফিল্টার পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে দেশে মোট ৭১ বিলিয়ন সিগারেট শলাকা উৎপাদিত হয়েছে। সিগারেটের ফেলে দেয়া ফিল্টার প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে প্রায় এক দশক সময় নেয়। মিশে যাওয়ার সময় এ থেকে সাত হাজারেরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাকের কারণে আমাদের আবাদযোগ্য জমি, বনভূমি, মৎসক্ষেত্র প্রভৃতি সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে। পরিবেশ, প্রতিবেশ, জলবায়ু এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে তামাক। সরকারের উচিৎ শক্তিশালী আইন ও কর পদক্ষেপের মাধ্যমে তামাকের আগ্রাসন বন্ধ করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ