পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি নিষ্কাশনের স্লুইজ গেটের কপাট ভেঙ্গে কৃষি জমিতে লবণ পানি উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানী ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাপাড়া রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চান্দুপাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ মোঃ বশার গাজী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পুলিশ মোঃ মোস্তফা গাজী, মতলেব সরদার, সোহরাব হোসেন, খলিল হাওলাদর, জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্য মো: বশার গাজী বলেন, পিতা-মোঃ মোস্তফা গাজী, ৩নং লালুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছি। ৪৭/৫ নং পোল্ডারে মঞ্জুপাড়া ও চান্দুপাড়া গ্রামের গাজী বাড়ির নিকট স্লুইজ গেটটির বাহির পাশের কপাট ভাঙ্গীয়া লবণ পানি উঠিয়া এলাকা তলিয়ে দিয়া, স্বপন গাজী সহ তাহার সঙ্গীরা ২৭ মে বিকালে বেন্তি’জাল পেতে মাছ ধরে। বেন্তি জাল পাতার কারণে স্লুইজ গেটের সামনের কপাটটি সামান্য জাগানোর ফলে পানি ঠিক ভাবে নামতে পারছিলনা। যাহার কারণে এলাকায় শতাধিক পরিবার ও কৃষি ফসলী ভূমি পানিবন্দি হয়ে পরে। এলাকার কৃষক ও সাধারণ জনগণসহ গ্রাম পুলিশ মোঃ বশার গাজী কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেবকে মোবাইল ফোনে অবগতি করি। বিষয়টি স্বপন গাজী জানিতে পারিয়া আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, এবং মোঃ বশার গাজী হুমকি দেয়। তাদের কাজে বাধা দিলে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ৩০মে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী হয়। যাহার ডায়েরী নম্বর-১৩৮১। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ করে। অভিযোগ দুই’টি তদন্তধীন রয়েছে। এর’পরে ১জুন কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার দিন মোঃ বশার গাজী অফিসের কাজে এবং তার পিতা আমার বাবা মসজিদে এতে ক্ষেপে ছিল বলে দাবি করে।

এ ব্যাপারে স্বপন গাজী তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে।