নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী দু’নাম মোহামেডান ও আবাহনী। এ দু’টি দলের খেলা মানেই মর্যাদার লড়াই। স্টেডিয়ামে দর্শকরা থাকলেও মাঠে যখন মোহামেডান ও আবাহনী পরস্পরের মোকাবিলায় নামে তখন সবার মাঝেই থাকে টান টান উত্তেজনা। এবারও এর কমতি ছিলো না। জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে গতকাল মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজার খানিক দর্শকের উপস্থিতিতে মর্যাদার লড়াইয়ে বিধ্বস্ত হয় মোহামেডান। ম্যাচ শেষে উল্লাস করেছে আবাহনী, আর হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন মোহামেডানের সমর্থকরা। আবাহনী ৩-০ গোলে হারায় সাদা-কালোদের। এ জয়ে সাত ম্যাচ শেষে চার জয় ও তিন ড্র’তে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে গোল ব্যবধানে শেখ জামালকে পেছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষে ওঠে এলো আবাহনী। সমান ম্যাচে পাঁচ ড্র ও দুই হারে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দশমস্থানেই রইলো মোহামেডান।
ম্যাচের শুরু থেকে মোহামেডানের দুর্গে হানা দিয়ে শুরু হয় আবাহনীর পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। ১৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে লী টাকের ক্রস বক্সে রিসিভ করে শট নেন হেমন্ত। কিন্তু পা দিয়ে বল ফিরিয়ে দলকে রক্ষা করেন মোহামেডান গোলরক্ষক শফিউল ইসলাম খান। তবে ২৬ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। এগিয়ে যায় আবাহনী। এসময় মোহামেডানের বক্সে ঢুকে কোনাকোনি শট নেন মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট। পোস্টে লেগে বল জালে আশ্রয় নিলে হতাশায় ডুবে মোহামেডান (১-০)। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সাদাকালোরা। ম্যাচের শেষ তিন মিনিটে আরও দু’গোল হজম করে বিধ্বস্ত হয় তারা। ৮৭ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে দারুণ শট করেছিলেন লী টাক। কিন্তু গোলরক্ষক বল ফিস্ট করে দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেন। তবে আক্ষেপটা ঘুচে পরের মিনিটেই। এসময় শাহেদের পাসে বল পেয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে জোড়ালো শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে চিজোবা (২-০)। ইনজুরি সময়ে মোহামেডানের গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়ে পোস্ট লক্ষ্য করে বল ঠেলে দেন সানডে। বক্সে ঢুকে গোলের ফিনিশিং টাচ দেন সেই লী টাক (৩-০)। ফলে জয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে যায় আবাহনী। ১৮ বারের মোকাবিলায় আকাশী-হলুদরা জয় পেয়েছে ছয় ম্যাচে। আর মোহামেডানের জয় চারটিতে। বাকি আট ম্যাচ ড্র হয়েছে।
এদিকে বিকেলের ম্যাচে ড্র করায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা হলো না হঠাৎ জায়ান্ট হয়ে ওঠা রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির। লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে রহমতগঞ্জ ১-১ গোলে ড্র করে ফেনীর সঙ্গে। ম্যাচে জিততে পারলে পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষে উঠতো পুরোনো ঢাকার দলটি। যা শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে কখনও পারেনি তারা, কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকের পেনাল্টি গোলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। রহমতগঞ্জের হয়ে প্রথমে দলকে এগিয়ে দেন নয়ন, ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে স্বস্তি উপহার দেন ফেনী সকারের চৌমিন। সাত ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জ ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে নেমে গেলো। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে ফেনীর অবস্থান ষষ্ঠস্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।