নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফ্রেঞ্চ ওপেন মানেই রাফায়েল নাদালের একচ্ছত্র আধিপত্য। রোঁলা গারোঁতে টেনিস ব্যাট হাতে নামলেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা তার দিকে মুখ করে বসে। একবার-দুবার নয়, ১৩ বার প্যারিসে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় তুলেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। সেই নাদালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা নোভাক জোকোভিচ শিরোপা জিতবেন না, তা কী করে হয়! তাই তো দুই সেটে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতে নিলেন সার্বিয়ান তারকা। গতপরশু প্যারিসে অনুষ্ঠিত পুরুষ এককের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গ্রিসের টেনিস খেলোয়াড় স্তেফানোস সিসিৎপাসকে ৭-৬ (৬-৮), ৬-২, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ।
রোঁলা গারোতে এটা তার দ্বিতীয় শিরোপা। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এই গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জেতেন সার্বিয়ান এই টেনিস সুপার স্টার। এর পরের চারটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন হন নাদাল। সব মিলিয়ে জোকোভিচের ক্যারিয়ারের ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়। রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের রেকর্ড ছুঁতে জোকোভিচের দরকার আর মাত্র একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ফেদেরার ও নাদাল দুজনই ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। হাঁটুর ইনজুরিতে চতুর্থ রাউন্ডের পর ফেদেরার সরে দাঁড়নোয় নালাদের সামনে সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার। কিন্তু জোকোভিচ বাধায় সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় তাকে।
দুই কিংবদন্তির খুব কাছে পৌঁছে যাওয়া জোকোভিচের শুরুটা দেখে মনে হয়নি তার মাথায় সেরার মুকুট উঠতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা সিসিৎপাস রীতিমতো কাঁপিয়ে দেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়কে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রথম সেট টাই-ব্রেকারে জেতেন সিতসিপাস। দ্বিতীয় সেটে আরও দুর্বার হয়ে ওঠেন গ্রিসের এই টেনিস সেনসেশন। এই সেটে জোকোভিচকে কোনো সুযোগ না দিয়েই ৬-২ গেমে জিতে নেন সিসিৎপাস। তখন মনে হচ্ছিল সরাসরি সেটে হেরে যেতে পারেন জোকোভিচ। কিন্তু তৃতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান নাম্বার ওয়ান টেনিস খেলোয়াড়, জিতে নেন ৬-৩ ব্যবধানে। এরপর আর সিসিৎপাসকে সুযোগ দেননি জোকোভিচ। পরের দুই সেট ৬-২, ৬-৪ গেমে জিতে নেন তিনি। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত জোকোভিচ বলেন, ‘এটা চমৎকার আবহ। আমার কোচ, ফিজিওসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। গত ৪৮ ঘণ্টার প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে দুই গ্রেট চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে খেলেছি আমি। শারীরিকভাবে গত তিনটা দিন খুব কঠিন গেছে। কিন্তু আমার নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস ছিল, জানতাম আমি পারব।’
পেরেছেন তো বটেই, লিখলেন নতুন ইতিহাসও। অনেকেই বলছেন, টেনিস সাম্রাজ্যের রাজা এখন নোভাক জোকোভিচ। তবে তিনিই কি সর্বকালের সেরা! সেটা তর্কের বিষয়। তবে রয় এমারসন এবং রড লেভারের পরে ৫২ বছর বাদে জোকোভিচ প্রতিটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অন্তত দু’বার করে জিতলেন। যে কীর্তি নেই ‘ফেভ থ্রি’র বাকি দুই সদস্য ফেদেরার, নাদালেরও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।