Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গঠন করে দেওয়া রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে মন্দির নির্মাণে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে উত্তর প্রদেশের দুইটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। রবিবার সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) দাবি করেছে এই বছরের মার্চে অবৈধ ভূমি হস্তান্তর চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি রুপিতে একটি জমি কিনে দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে কয়েক মিনিট পরই ওই জমিটি ট্রাস্টের কাছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি করে। তবে মন্দির নির্মাণ কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রায়ে এই ট্রাস্টকে ৭০ একর জমি প্রদান করা হয়। আর ১৫ সদস্যের ট্রাস্টের ১২ জনকেই মনোনীত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমাজবাদী পার্টির সাবেক এমএলএ এবং মন্ত্রী পবন পান্ডে রবিবার অযোধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন স্থানীয় কিছু বিজেপি নেতা এবং ট্রাস্ট সদস্যদের যোগসাজশে ভূমি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতির প্রমাণ হিসেবে কিছু উপস্থাপন করে তিনি জানান রাম জন্মভ‚মি সাইটের বাইরে অবস্থিত কিছু জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কেনা হয়েছে। একাধিক ধাপে বিক্রি হওয়া জমিটির কাগজপত্রের সবগুলোতেই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অযোধ্যার মেয়র এবং ট্রাস্টের একজন স্থানীয় সদস্যের নাম রয়েছে। পবন পান্ডে প্রশ্ন তোলেন, ‘ওই জমিতে কি এমন স্বর্ণ রয়েছে যে কয়েক মিনিটের মাথায় এর দাম দুই কোটি থেকে ১৮ কোটির বেশি হয়ে গেল? এর মানে হলো ১৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি লুট করা হয়েছে। এনিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি মানুষ রাম মন্দির ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছে। নিজেদের জমানো অর্থ তারা দান করেছে। তাদের অর্থ নিয়ে যদি এই করা হয় তাহলে তা ভারতের ১২০ কোটি জনগণকে উপহাস করা হবে।’ আলাদা এক সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ তোলেন এএপি নেতা এবং রাজ্য সভার সদস্য সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, ‘দেবতা রামের নামে দুর্নীতি হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু এসব নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি রুপি আত্মসাৎ করা হয়েছে।’ তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা এবং ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায় বলেন, ‘এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। কেউ কেউ মহাত্মা গান্ধী হত্যাকান্ডের জন্যও আমাদের দায়ী করেন। এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে আমরা বিচলিত নই। অন্যদেরও হওয়া উচিত নয়।’ এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ