Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকার দুই ডোজের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি ঝুকিপূর্ণ : ফাউসি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২১, ৯:৪৮ এএম

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যকার সময় যদি বেশি হয় তাহলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হোয়াইট হাউজের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউসি। গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছাড়াও এর কয়েকটি ধরনের অত্যন্ত সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ধরনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল করোনা ভাইরাসের চেয়ে শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ফাইজারের করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার সঠিক বিরতি হলো ৩ সপ্তাহ। মডার্নার ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ। আপনি যদি টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এর চেয়ে বেশি বিরতি নেন, সেক্ষেত্রে করোনার যে কোনো ধরনের আক্রান্তের ঝুঁকি থাকবে।’
ফাউসি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে এমনটা দেখা গেছে। প্রচুর মানুষ সেখানে করোনার বিভিন্ন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এটি ঘটেছে টিকার দুই ডোজের মধ্যকার দীর্ঘ বিরতির কারণে। এ কারণে আমরা সবাইকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’
তবে টিকার ডোজের ঘাটতি দেখা দিলে অবশ্য এই বিরতি বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন ফাউচি।
ভারতে ডেল্টা নামে করোনা ভাইরাসের যে নতুন ধরণ শনাক্ত হয়েছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফাউচি বলেন, ‘ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের এই ধরনটি মূল ভাইরাসের তুলনায় অনেক দ্রুত ও নিখুঁতভাবে মানবদেহে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং তা প্রমাণিত। কোনো দেশে যদি ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয় তাহলে এখন প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেখানে খুব দ্রুত উচ্চহারে করোনা সংক্রমণ দেখা দেবে। বিশেষ করে ওই দেশের বেশিরভাগ নাগরিক যদি টিকা না নিয়ে থাকেন।’
তৃতীবারের মতো গত মাসে করোনা টিকার দুই ডোজের মধ্যকার বিরতি বাড়িয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন বা যে কোনো দুই ডোজের করোনা টিকার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার বিরতিকাল হবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। এর আগে গত মার্চে এই বিরতি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হয়েছিল। তারও আগে, দুই ডোজের মধ্যকার বিরতি ছিল ২৮ দিন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যদিও বলছে, দুই ডোজের মধ্যকার দীর্ঘ বিরতিতে মানবদেহে অ্যান্টিবডি বাড়ে বলে গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মূলত ভারতে টিকার ডোজের তীব্র ঘাটতি দেখা দেওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। সূত্র : এনডিটিভি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ