বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়াবন্দর-ঢাকা ও বগাবন্দর-ঢাকা রুটের লঞ্চগুলো কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলাচল করছে। অথচ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এতে করে করোনা সংক্রমণ যেমন বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে, তেমনি থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
সরজমিনে ও সংশ্লিষ্ট ঘাট ইজারাদারদের কাছ থেকে জানা গেছে, কালাইয়া বন্দর ও বগা বন্দর ঘাট থেকে ৮টি ডাবল ডেকার লঞ্চ ও বরিশাল, অভ্যন্তরীণ রুটে দৈনিক ৬টি সিঙ্গেল ডেকার লঞ্চ আসা যাওয়া করে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে, মাস্ক ব্যবহার করে, সীমিত যাত্রী বহনের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। অথচ স্বাস্থ্য বিধির সকল প্রকার নির্দেশনা উপেক্ষা করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশ হারে ভাড়া ঠিকই বেশি নিচ্ছেন।
কালাইয়া-ঢাকা রুটে আসা যাওয়া করেন কালাইয়া বন্দর ব্যবসায়ী সুভাষ দেবনাথ বলেন, প্রতি সপ্তাহেই তিনি তার ব্যবসায়িক কাজে লঞ্চ যোগে ঢাকা আসা যাওয়া করতে। কিন্তু বাস্তবে পাঁচ শতাংশ মানুষের মুখে মাস্ক থাকে। সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নাই। অথচ ভাড়া পূর্বের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি নিচ্ছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
অপর এক যাত্রী খলিলুর রহমান বলেন, কালাইয়াবন্দর ঘাট থেকে ঢাকা যেতে দ্বিতীয় শ্রেণির (দোতালার ডেকের ফ্লোরে) ভাড়া পূর্বে নেওয়া হতো ২৫০ টাকা করে বর্তমানে তা থেকে ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। খালিলুর রহমান ক্ষোভের সাথে বলেন, ভাড়া অতিরিক্ত নিলে কোন আপত্তি ছিল না। যদি স্বাস্থ্য বিধি নূন্যতম মানা হতো।
সম্প্রতি কালাইয়া বন্ধর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বন্ধন-৫ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির যাত্রী মো, মাঈনুল ইসলাম বলেন, তার বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে জরুরী প্রয়োজনে ঢাকা যাই। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে যে ধরনের বিধি নিষেধ মানার নির্দেশনা রয়েছে তার কোনটাই মানা হচ্ছে না। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক লঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসলে আমরা সরকারের সকল নির্দেশনাই মেনে চলতে চেষ্টা করি। তবুও বিভিন্ন ঘাটে লঞ্চ নোঙর করতে গিয়ে যাত্রীরা উঠে পড়ে। তারপরেও চেষ্টা করি যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন। তাহলে ভাড়া বেশি নিচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কোন লঞ্চের কর্মকর্তাই সঠিক জবাব দিতে পারেনি।
কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি প্রতিদিনই ঘাটে ঘাটে নজর রাখি যাতে কোন লঞ্চ কর্তৃপক্ষই নির্দেশনার বাইরে যাত্রী না উঠাতে পারে। মঙ্গলবার কালাইয়াবন্দর ঘাটে ছিলাম লঞ্চের যাত্রীদের সকলেরই মুখে মাস্কসহ সামাজিক দূরত্বে অবস্থান ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।