মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উপায়ান্তর না-দেখে আফগানিস্তানে তালেবানের একটি অংশের সঙ্গে সংযোগের দরজা খুলল ভারত। কূটনৈতিক সূত্রে এ খবর পাওয়া গিয়েছে। এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভারতের এত দিনের কাবুল-নীতির থেকে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু মোদি সরকারই নয়, পূর্বতন মনমোহন সিংহ বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারও কখনওই তালেবানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দরজা খোলেনি। আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে সে দেশের যুদ্ধ-পরবর্তী পুর্নগঠনের কাজ চালিয়েছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, আলোচনার এই সূত্রপাতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক দৌত্য বলা চলে না। ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্তারা যোগাযোগ করেছেন তালেবানের এমন একটি অংশের সঙ্গে, যারা পাকিস্তান ও ইরান বিরোধী। জানা গিয়েছে, তালেবান শীর্ষ নেতা মোল্লা বরাদরের সঙ্গেও সংযোগ করা হয়েছে। মোল্লা বরাদর আফগান-তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তার সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন আমেরিকার পররাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে সে দেশে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তি করেছিলেন এই বরাদর। পাকিস্তান তথা আইএসআই-বিরোধী তিনি। তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় (১৯৯৬-২০০১)বহু পদে থেকেছেন। পাকিস্তান ২০১০ সালে তাকে করাচিতে গ্রেফতার করে। ২০১৮ সালে মুক্তির পর এখন তিনি দোহা থেকে সরকার এবং আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।
তালেবানের এই ‘বিশেষ’ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা, কিছুটা ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার’ নীতি বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকা সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে এসেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যেন তাড়াহুড়ো না-করে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা যে সরাসরি যুক্ত, এটা বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে চেয়েছে সাউথ ব্লক। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরলে এবং চীনের মদতে ইসলামাবাদ তার প্রধান কান্ডারি হলে, নয়াদিল্লির কাছে তা দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়।
কিন্তু এ কথাও ভারতের অজানা নয় যে, তাদের অনুরোধ মেনে, কাবুল নিয়ে এক ইঞ্চি পদক্ষেপও করবে না বাইডেন প্রশাসন। তারা চলবে নিজেদের জাতীয় স্বার্থের নিরিখে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে আমেরিকার সেনা সরে গেলে ইসলামাবাদ যাতে কাবুলে ছড়ি ঘোরাতে না-পারে, সেজন্য কিছুটা মরিয়া হয়েই খোদ তালেবানের এইবিশেষ অংশের সঙ্গে যোগযোগ রাখার এই সিদ্ধান্ত। তবে গোটা বিষয়টিই অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখনও দু’পক্ষে আনুষ্ঠানিক কোনও বৈঠক হয়েছে কি না, স্পষ্ট নয়। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।