Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তদন্তের ভুলেই গ্রেফতার পরিবহন শ্রমিক

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

হরিণাকুন্ডুতে একটি সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় এসপি পরিবহনের হেলপারের পরিবর্তে লস্কার পরিবহনের হেলপার গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতি। তারা গতকাল জরুরি সভায় ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কাছে এ নিয়ে নালিশ দিয়েছেন। অন্যদিকে অজ্ঞাত কারণে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামিমকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। অনেকের ধারণা নিরপরাধ হেলপারকে গ্রেফতার ও আব্দুল মান্নান নামে এক বাস চালকের কাছ থেকে তদন্ত কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধা নেওয়ার কারণে তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সুত্রে জানা গেছে, গত ১৯ মে রাত ৮টার দিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর জামতলা নামক স্থানে এসপি পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একই উপজেলার হামিরহাটি গ্রামের মনছের আলীর ছেলে আক্তার হোসেন ও চাঁদপুর গ্রামের গফুর মোল্লার ছেলে তালেব আলী নিহত হন। ২০১৮ সালের সংশোধিত সড়ক আইনে অজ্ঞাত গাড়ি, অজ্ঞাত চালক ও অজ্ঞাত হেলপারকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পান হরিণাকুন্ডু থানার এসআই শামীম। ঝিনাইদহ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ওলিয়ার রহমানের ভাষ্যমতে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত এসপি পরিবহনের বাস। অথচ সেই বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার না করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম লস্কার পরিবহনের হেলপার চান্নু মিয়াকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযোগ দিয়েছেন ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতি। মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি আবু সাইদ অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। এতে প্রকৃত দোষীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এদিকে আব্দুল মান্নান নামে এক বাস চালক জানান, আমি দুই দিন বদলি ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেছিলাম। এই দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন আমি ছিলাম না। কিন্তু তাদেরকে না ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ৭ হাজার টাকা নিয়েছে। আরও টাকা দাবি করে তিনি আমার কাছে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র চাচ্ছেন। এসআই শামীম বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। মামলাটিতে অজ্ঞাত বাস, অজ্ঞাত ড্রাইভার ও হেলপারকে আসামি করা হয়েছে। আমি তদন্তের স্বার্থে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র চেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, তদন্ত কর্মকর্তার ক্লোজ হওয়ার সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নেই। অজ্ঞাত বাস ও আসামি উল্লেখ হওয়ায় হয়তো ভুল বোঝাবুঝিও হতে পারে। তবে পুলিশ দায়ী বাস ও আসামিকে সনাক্ত করার জন্য খুবই আন্তরিক।

 

 



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৯ জুন, ২০২১, ১২:৫১ এএম says : 0
    ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ক্লোজ করলে হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রমিক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ