বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফুটওভারব্রিজ না থাকা ও যত্রতত্র গাড়িতে উঠানামা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কের উভয় দিকে ৬ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সৃষ্টি হওয়া যানজটে চালক ও যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
বরপা, রূপসী, বরাবসহ বেশকয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এ যানজটের চিত্র দেখা যায়। এ ধরনের যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে ফুটওভারব্রিজ সঙ্কট, যত্রতত্র গাড়িতে উঠানামা ও রূপসী-কাঞ্চন সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক আসা যাওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মালবাহী ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করে। রূপসী বাস স্টেশন দিয়ে রূপসী-কাঞ্চন সড়কে সারি সারি করে ট্রাক প্রবেশ করছে। এতে করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনগুলো আটকে রয়েছে। এছাড়া সড়কের এক পাশে তিতাস গ্যাসের ১২ ইঞ্চি পাইপ লাইন স্থাপন করতে গিয়ে ভ্যাকো ব্যবহার করে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে অনেক সময় সড়কের এক পাশে গাড়ি বন্ধ রাখতে হচ্ছে, অপরপাশ দিয়ে গাড়ি চলতে দেয়া হয়। অল্প সময়ের জন্য যানবাহন আটকে থাকলে মুহূর্তেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে দিনের পর দিন। আবার কোন কোন বাসকে সড়কের মাঝেই যাত্রী উঠাতে নামাতে দেখা গেছে। এতে করে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। আটকে যাচ্ছে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এ দীর্ঘ যানজটের কারণে ১৫ মিনিটের পথ যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
বরপা এলাকার বাসিন্দা শরীফ মিয়া বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। আমাদেরকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশকেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে দেখা যায় না।
গাউছিয়া এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, চিটাগাংরোড থেকে গাড়িতে উঠেছি গাউছিয়ার যাওয়ার জন্য। কাঁচপুর থেকে যানজট শুরু হয়েছে। দুই ঘণ্টায় বরাবোতে পৌঁছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে গাড়ি চালকরা নিয়ম ভঙ্গ করে চালানোর কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।