গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্মার্ট পোল স্থাপন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। রাজধানীবাসীর জন্য উন্নত ও নির্বিঘ্ন সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করাই এই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর লক্ষ্য। নাগরিকদের নির্বিঘ্ন সংযোগ সেবা প্রদান করতে গৃহীত স্মার্ট পোল স্থাপনের এই উদ্যোগটি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই ছাতার নিচে নিয়ে এসেছে।
এই স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচার সলিউশনটি নেটওয়ার্ক কাভারেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত ডেটা ব্যবহারের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। বর্তমানে ডেটা ব্যবহার বাড়তে থাকায় একই এলাকায় একাধিক টাওয়ার তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উদ্ভাবনী ও টেকসই এই সমাধানটি বাড়তি টাওয়ার স্থাপন না করেই ডেটার অতিরিক্ত চাপ কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদেরকে আরো ভালো সেবার প্রদানের সুযোগ করে দিচ্ছে। এছাড়া ফোর-জি/ফাইভ-জি সুবিধা সম্বলিত এই স্মার্ট অবকাঠামোগুলো বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে - ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা, স্মার্ট বিনের মাধ্যমে ডিজিটাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিষেবা এবং রিয়েল টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিংয়ের মতো স্মার্ট ফিচারের ব্যবস্থা থাকবে যার প্রতিটিই নাগরিক জীবনে বিভিন্ন কাজে আসবে। এছাড়াও সমন্বিত এই সল্যুশনটিতে নিরাপত্তা নজরদারি, এনার্জি সেভিং এলইডি লাইট এবং ডিজিটাল সাইনেজের মতো আধুনিক সুবিধাও প্রতিস্থাপনের সুবিধা থাকছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগরবাসীর জন্য উন্নত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকাকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবো। সমন্বিত ও মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো- স্মার্ট সিটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নগরবাসীদের জন্য যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে সর্বোচ্চ সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ইডটকোর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
এ প্রসঙ্গে ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, ‘ডিএনসিসি’র সাথে আমাদের এই অংশীদারিত্বমূলক চুক্তিটি মূলত: নান্দনিক নগরপরিকল্পনার সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে আরো উন্নত ও টেকসই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতারই প্রমাণ। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে ইডটকো সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রেও অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সার্বিকভাবে আমরা এমন একটি শহর গড়ে তুলতে আগ্রহী, যেটি কেবলমাত্র নির্বিঘ্ন যোগাযোগ সুবিধাই নয়, বরং শহরের বাসিন্দাদেরকে আরো সংযুক্ত, নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখবে।’
দু’পক্ষের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মুহূর্তে ডিএনসিসি’র সম্মানিত মেয়র আতিকুল ইসলাম, চিফ টাউন প্লানার মাকসুদ হাশেম, ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন, ডিরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এন্ড প্লানিং ইশরাত জেরিন, হেড অফ সেলস এন্ড মার্কেটিং রেভেন দেওয়ান সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে এখন নিজস্ব মালিকানায় ১১ হাজারেরও বেশি টেলিকম টাওয়ার পরিচালনা করছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানিটি সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই ও শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।