গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জনগণকে উন্নয়নের ফাঁকাবুলি শোনানোর জন্য প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও বাজেট বাস্তবায়নের হার অত্যন্ত হতাশাজনক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসেই বাজেট বাস্তবায়নের হার কমেছে প্রায় সাড়ে দশ শতাংশ। একইভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। যে বিশাল ঘাটতি বাজেট এবার প্রস্তাব করা হয়েছে তা পূরণে সরকারকে বিপুল সংখ্যক অর্থ ঋণ করতে হবে। “আওয়ামী সরকারের কাছে বাজেট মানেই যেন পুতুল খেলা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত“প্রস্তাবতি বাজেট ২০২১-২০২২ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এনডিএম এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন,দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, মোমিনুল ইসলাম, মো. আবু সায়েম, ফেনী জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. নূর উল্লাহ, যুব আন্দোলন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আদনান সানি ও ছাত্র আন্দোলন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ রানা জুয়েল।
দলের চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে তা নিতান্তই অবাস্তব এবং হাস্যকর। পণ্য ও সেবা সরবারহের ক্ষেত্রে উৎসে কর বাড়ানো, ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করা, ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতন নগদে না দেয়ার বিধান মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও জটিল এবং ব্যয়বহুল করে তুলবে। বাজেটে নারী উদ্যোক্তা বা নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য কোন সুসংবাদ নেই। করোনা মহামারির এই সময়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি কাজ হারালেও তাঁদের জন্য কোন বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।ি নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্য, আবাসন খাতে ভ্যাট না কমানো এবং মধ্যবিও জনগোষ্ঠীর আবাসন নিশ্চিতে সরকারের কোন উদ্যোগের ঘোষণা না থাকার আবারও প্রমাণিত হয়েছে সরকার জনবান্ধব নয়।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে সামান্য বরাদ্ধ বাড়ানো হলেও এই অর্থ জনকল্যাণে খরচ করার মত দক্ষতা এবং পরিকল্পনা স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের নেই। বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ এবং করোনাকালে প্রাস্তিক পর্যায়ে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার কোন পরিকল্পনা না থাকায় আমরা হতাশ হয়েছি। উচ্চশিক্ষা খাতে গবেষণার জন্য অপ্রতুল বরাদ্ধ, দেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা খাতকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নতীকরণের জন্য পরিকল্পনা না থাকা, মাঝারি এবং ভারী শিল্পে দেশীয় প্রযুক্তিতে নতুন উদ্ভাবনের উদ্যোগ না থাকা, প্রাথমিক শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনার পরিকল্পনা না থাকায় বোঝা যায় শিক্ষাখাত নিয়ে সরকারের দূরদর্শী কোন চিন্তা নেই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার কথা বললেও যে লক্ষ্যমাত্রা তিনি নির্ধারণ করেছেন, মাসে ২৫ লাখ করে টিকা দিলেও তাতে সময় লাগবে প্রায় এক দশক। দেশের কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষা করতে বরাবরের মতই ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। কৃষকের কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সহায়তার ঘোষণা থাকলেও মাঠ পর্যায়ের বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কৃষিবাজার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হলেও কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতায় গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষি অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সরকারের ঋণ নির্ভরতার কারণে বেসরকারিখাতে অর্থপ্রবাহ কমছে। ফলে এবারের বাজেটও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়ক হবে না। দেশের হতদরিদ্র এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য বরাদ্ধ বৃদ্ধি না করার ফলে কোনদিক থেকেই এই বাজেটের চেহারা মানবিক হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।