বর্ষা মাথায় নিয়ে সময়মতই দক্ষিণÑপশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল সহ দক্ষিণ উপক’লে অগ্রসর হয়ে সক্রিয় অবস্থান গ্রহনের ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী দুদিন এ ধরনের বর্ষন অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে ৩টার মধ্যে বরিশালে ৩৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টার পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল আরো ২১ মিলিমিটার। তবে সোমবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালীতে দেশের তৃতীয় সর্বাধীক ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এসময় ভোলাতেও ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

সোমবার দুপুরে মাত্র ৩ঘন্টার প্রবল বর্ষনে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পরে। এ অঞ্চলের সবগুলো শহরের রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যান চলাচলে মারাত্মক বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। তবে এ বর্ষন মঠে থাকা রোপা আউশ সহ আসন্ন ‘খরিপ-২’ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দনাদার খাদ্য ফসল আমন আবাদে বীজতলা তৈরীর জন্য যথেষ্ঠ উপযোগী হবে বলে কৃষিবীদগন জানিয়েছেন।
টানা সাড়ে ৫ মাসের অনাবৃষ্টির পরে দক্ষিণÑপশ্চিম মৌসুমী বায়ু সময়মত দক্ষিণ উপক’লে পৌছে যাওয়ায় এবার বর্ষা মওসুমে স্বাভবিক বৃষ্টিপাতের আশা করছেন আবহাওয়াবীদগন। গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল ৯৫Ñ৯৯%। আর গত মে মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ২৬০ মিলিমিটারের স্থলে ১২৭.৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। ঘাটতি ছিল ৫১.১%। তবে চলতি জুন মাসে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ৪৮৩ মিলিমিটারের স্থলে আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে ৪৩৫Ñ৫৩০মিমি বৃষ্টিপাতের পুর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টির সম্ভবনার কথা জানিয়ে কোন কোন স্থানে মাঝারী ধরনের ভারী বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। এমনকি মঙ্গলবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবনতা বৃদ্ধির কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।