Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানীর সাথে বরিশাল-মংলা-খুলনার নিরাপদ নৌ যোগাযোগ বিপর্যস্ত

কুড়িদিন ধরে বিকল নৌযান ঘাটে আরেকটি ইজারায়

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ৫:১৭ পিএম

রাজধানীর সাথে বরিশাল ঝালকাঠি-পিরোজপুর-বাগেরহাট-মংলা হয়েয় খুলনা বিভাগীয় সদরের নিরাপদ নৌযোগাযোগ রক্ষাকারী নির্ভরযোগ্য নৌযান ‘পিএস মাহসুদ’ বিগত কুড়িদিন ধরে বিকলবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ইতোমধ্যেই রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নিয়মিত নৌযোগাযোগ সপ্তাহে ৪দিনে সীমিত করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ঢাকার সাথে মংলা খুলনার একমাত্র যাত্রীবাহী নৌ যোগাযোগটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

ঈদ উল আজহার আগে গত ৮ আগস্ট ঢাকা থেকে ৫শতাধীক যাত্রী নিয়ে বরিশালে যাবার পথে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া-মেঘনা মোহনায় ‘পিএস মাহসুদ’এর মূল ইঞ্জিনের ‘ফ্লাই হুইল’এর ‘রাবার লাইলিং’ বিকট শব্দে ফেটে গিয়ে নৌযানটি বিকল হয়ে পরে। কোনমতে নৌযানটি চাঁদপুর ঘাটে নোঙর করা সম্ভব হলেও তা আর সচল করা যায়নি। প্রায় ৮ঘন্টা পরে পরদিন প্রত্যুষে বিকল্প নৌযান চাঁদপুরে পৌঁছে আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশাল হয়ে পিরোজপুরের হুলারহাট পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। ৯ আগস্ট বিকল নৌযানটির যন্ত্রাংশ খুলে মেরামতে নেয়া হলেও বিগত কুড়িদিনেও তা আর নৌযানটিতে ফেরত আসেনি।

সরবারহকারী নিম্নমানের ঐ যন্ত্রাংশ সরবারাহ করায় তা ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেই বিনষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এরপর থেকে সরবারহকারী নানা অজুহাত দেখিয়ে গত কুড়ি দিনেও যন্ত্রাংশটি আর সরবারহ করেনি। এমনকি গত সপ্তাহখানেক যাবত সরবারহকারীর কোন হদিসও পাচ্ছেনা সংস্থাটির দায়িত্বশীল মহল। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে একাধিক তারিখ নির্ধারণ করেও যন্ত্রাংশটি সরবারহ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ঐ সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোন কারখানা নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থা।

এব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র জিএম-কারিগরি গফুর সরকারের সাথে আলাপ করা হলে তিনি যন্ত্রাংশের অভাবে পিএস মাহসুদ বসে থাকার কথা স্বীকার করে যত দ্রুত সম্ভব যন্ত্রাংশটি সংগ্রহ করে নৌযানটি সচল করার কথা জানান। সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানটির অসহযোগীতার কারণেই এত দিনেও নৌযানটি সচল করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি। এব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানান সংস্থাটির এ কারিগরি কর্মকর্তা ।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, সংস্থাটির হাতে ৪টি প্যাডেল জাহাজের একটি বিনা দরপত্রে ইজারা দিয়ে গেছেন বিদায়ী নৌ পরিবহন মন্ত্রী। অপর দুটিও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ১৯৯৫-৯৬ সালে পূণর্বাশন ও আধুনিকায়নের পারে গত ২৩বছরেও এসব ব্যায়সাশ্রয়ী নৌযানগুলোর মূল ইঞ্জিন, প্যাডেল ও উপরিকাঠামোর কোন পরিপূর্ণ মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন হয়নি। ফলে নৌযানগুলোর কারিগরি ত্র“টি এখন নিত্যকার ঘটনা। যাত্রী সেবা বলতেও কিছু অবশিষ্ট নেই। তবে সংস্থার চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব প্রনয় কান্তি বিশ্বাস এসব প্যাডেল জাহাজের পূর্ণাঙ্গ মেরামত এবং পূণর্বাশনের সম্ভ্যব্যতা যাচাইয়ের কথা জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ