মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সরকারি প্রচারে খামতি নেই। বিশ্বের বৃহত্তম দল বলে নিজেদের দাবি করা বিজেপি নেতা এবং তাদের প্রচারযন্ত্রের আস্ফালনেরও খামতি নেই। কিন্তু তথ্য বলছে, জনস্বাস্থ্য থেকে সর্বজনীন শিক্ষা, শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণ বা বেকারত্ব— অর্থনীতি-কর্মসংস্থানের মতো এই সব গুরুত্বপূর্ণ সূচকেও মোদি জমানায় ক্রমশই তলিয়ে যাচ্ছে একদা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে ওঠা ভারত।
প্রতিবেশী বাংলাদেশ তো বটেই, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল বা শ্রীলঙ্কার মতো তথাকথিত ছোট অর্থনীতির দেশও গত কয়েক বছরে মোদি-শাসিত ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। তার দু’টি সর্বশেষ উদাহরণ সামনে এল এ বারে। দেশের সব মানুষকে খাদ্যসুরক্ষা দেয়ার প্রশ্নে চূড়ান্ত ব্যর্থতা ও সমাজে লিঙ্গবৈষম্য প্রবল ভাবে থেকে যাওয়ার কারণে জাতিসংঘের ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা স্থায়ী উন্নতির সূচকে আগের তুলনায় দু’ধাপ নীচে নেমে গেল মোদি-শাসিত ভারত! প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো তথাকথিত ছোট দেশও ওই তালিকায় ভারতের উপরেই রয়েছে।
২০১৫ সালে জাতিসংঘ ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। জাতিসংঘের ওই পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে যাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে, সেই লক্ষ্যে ১৭টি বিষয়কে চিহ্নিত করে তা দূর করতে দেশগুলিকে পরিকল্পনা হাতে নিতে বলা হয়। ওই ১৭টি বিষয়ের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে দারিদ্র দূরীকরণ। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রয়েছে, সকলের জন্য খাদ্যসুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য, উন্নত মানের শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য রোধ। প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় দ্বিতীয় ও পঞ্চম বিষয়ে খারাপ ফল করায় ভারতের স্থান দু’ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘ প্রকাশিত এই রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গেই সামনে এল দেশের শিশুদের অপুষ্টির ভয়াবহ ছবি। যা খাদ্য সুরক্ষা সূচকের নিম্নগতির সঙ্গে যথেষ্টই মানানসই। তথ্যের অধিকার আইনে করা একটি প্রশ্নের উত্তর থেকে সামনে এসেছে সেই ছবি। তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ৯ লাখ ২৭ হাজার শিশুর ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভোগার কথা স্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারেরই নারী ও শিশুকল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। আর এদের সিংহভাগই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে, যার শীর্ষে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং বিজেপি-জোট শাসিত বিহার। দুই রাজ্য মিলিয়ে সংখ্যাটা সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি।
পিছিয়ে নেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ এমনকি কেন্দ্রশাসিত লাদাখ, লক্ষদ্বীপও। তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর-পূর্বের নাগাল্যান্ডেরও। এই সব রাজ্যের ৬ মাস থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মধ্যে ওইটুকু সংখ্যাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে মাত্র। অনেকেই মানছেন, এর বাইরেও বিপুল সংখ্যক অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে। সূত্র: এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।