বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালভার্ডসহ পাকা সড়ক। মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন লন্ডভন্ড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চরসেকান্তর-মুন্সিরহাট সড়ক, রামগতি বাজার-আলেকজান্ডার সড়ক, বিবিরহাট রামদয়াল সড়ক ও বিবিরহাট মাজার রোডসহ মোট ৮টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার ও ৪টি কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেন সংশ্লিষ্ট অফিস। এই সড়কগুলোর মধ্যে চরসেকান্তর-জনতা বাজার সড়কটির সংষ্কার কাজ (কার্পেটিং) শেষ হয়েছে মাত্র এক সাপ্তাহ আগে। এরই মধ্যে মেঘনানদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সড়কটির কার্পেটিং উঠে যায়। ব্যাপক গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে সড়কে চলাচলকারী ২০ হাজারের মতো মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হঠাৎ করে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী হাজার-হাজার মানুষ। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো ইউনিয়নে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে একাধিক গ্রামে।
চরসেকান্তর এলাকার মনির হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ও ইরফান জানান, কয়েকদিন আগে চলাচল উপযোগী হওয়া সড়কটির উপর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ভেঙে গেছে। রামগতি উপজেলার চরগাজী, বড়খেরী, চরনআলেকজান্ডার, চররমিজ ও চরআলগী ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক ও কালভার্ট। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী মো. আব্দুর রহিম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রামগতিতে ৪টি কালভার্ট, ৮টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্য রামগতি-আলেকজান্ডার সড়ক ও চরসেকান্তর-জনতাবাজার সড়ক অন্যতম।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুম বলেন, নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও কালভার্টের তালিকা তৈরি করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, উপকূলীয় এ অঞ্চলে জোয়ারে প্লাবিত হয়ে রাস্তঘাটের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি তালিকা তৈরির কাজ চলমান। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে আসছি। দ্রুত মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।