মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার বিরোধী দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে তারা তার সরকারকে হটাতে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদে লোধরানের মুলতান হাইওয়ে আপগ্রেডিং এবং পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিরোধী নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নিজেকে গণতান্ত্রিক বলে অভিহিত করে, কিন্তু একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘তারা [বিরোধী দল] সেনাবাহিনীকে আমার সরকারকে উৎখাত করার করার জন্য প্রকাশ্যে অনুরোধ করেছিল’। ইমরান খান বলেন, দীর্ঘদিনের লড়াই ছাড়া দেশে পরিবর্তন আনা যায় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার [ক্ষমতায় আসার পর থেকে] বিরোধীরা চিৎকার করছে যে, তারা ব্যর্থ হয়েছে’। ‘লোকেরা জিজ্ঞাসা করে, যেসব পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা কোথায়? আমি তাদের বলি, এটি এমন কোনো জিনিস নয় যা রাতারাতি আসে, না এটি এমন কোনো সুইচ যা যেটি অন করলেই চালু হয়ে যায়’।
কায়েদ-ই-আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশে এখন আমরা বাস করছি তার জন্য সেই নেতাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি তিনি মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছেন। তবে তিনি ফিরে এসে পাকিস্তানের পক্ষে কঠোর লড়াই করেছেন’।
প্রধানমন্ত্রী আরো যোগ করেন যে, তার সরকার একই নীতি পুনরুজ্জীবিত করছে যা পাকিস্তানকে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। তিনি আরো জানান, কৃষকদের যথাযথ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, এর ফল রেকর্ড ফসল উৎপাদন দৃশ্যমান হবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের যখন বিনিয়োগের জন্য ইনসেনটিভ দেয়া হয় তারা লন্ডনে অ্যাপার্টমেন্ট এবং বাড়ি কেনে না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান আরো যোগ করেন, পূর্ববর্তী কোনো সরকারই পাকিস্তানের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবেনি; তারা কেবলমাত্র পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে কীভাবে জিততে হবে তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল।
‘পাকিস্তানের ৫০ কিলো মেগাওয়াট পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ উদ্দেশ্যে ১০টি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো যোগ করেন যে, বর্তমান সরকার আবহাওয়া পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জও হাতে নিয়েছিল, যাতে ভবিষ্যতে প্রজন্ম দেশে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকে। পর্যটন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করে বলেন যে, অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ খাত অতীতে অবহেলিত ছিল। তিনি বলেন, ‘লোকেরা যদি লন্ডনে তাদের ছুটি ও ঈদ কাটায়, তবে কীভাবে তারা জানতে পারবে যে, পাকিস্তানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কী আছে’। ‘আমরা পর্যটন শিল্পের উন্নতিতেও কাজ করছি, কারণ এটিই একমাত্র পাকিস্তানের রিজার্ভ উন্নত করতে পারে’। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় শেষ এবং এখন বৃদ্ধির সময় এসে গেছে।
তিনি বলেন, ‘নির্মাণ শিল্পটি বিকাশ লাভ করেছিল এবং এর সাথে আরো ৩০টি শিল্প আন্তঃসংযুক্ত ছিল’। তিনি আরো বলেন, সরকারের ‘নয়া পাকিস্তান আবাসন প্রকল্প’ এখনই বন্ধ হয়ে যাবে, কারণ ফোরক্লোজার আইন আদালতে অনুমোদিত হয়েছে এবং ব্যাংকগুলো এখন ব্যক্তিদের ঋণ দিচ্ছে - আগে তা করতে অনিচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘নির্মাণ শিল্পের গতি বাড়ার সাথে সাথে আরো বেশি চাকরি দেয়া হবে। ‘আগামী দিনে আমি আমার লোকদের আরও সুসংবাদ দেব’ বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।