মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজ্য উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত গোরক্ষনাথ মন্দিরের পাশেই বাড়ি জাভেদ আক্তারের। ৭১ বছর বয়সী জাভেদের সমস্ত জীবন কাটানো ওই শতবর্ষ পুরনো বাড়িটি তার দাদার আমলের। জাভেদ ভারতীয় রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। তিনি জানালেন, কদিন আগেই পুলিশসহ গোরক্ষপুর জেলা কর্মকর্তারা তার বাড়িতে গিয়ে আশপাশের জমি মাপেন। ঠিক তার পরদিনই তাকে একটি ‘সম্মতিপত্র’ স্বাক্ষর করতে বলা হয়। তাতে বলা হয় যে, গোরক্ষনাথ মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাসিন্দারা ‘মন্দির চত্বরের সুরক্ষায়’ তাদের ‘জমি এবং বাড়িগুলি সরকারের কাছে হস্তান্তর’ করার সম্মতি দিয়েছেন। সেই চিঠি পড়ে আমাদের আর কিছুই করার ছিল না। আমরা চিঠিটিতে বাসিন্দাদের নাম লেখা কোণায়, ‘আমাদের কোনো সমস্যা নেই এবং আমরা সম্মতি দিচ্ছি’ এমনটা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই, বলেন আক্তার। তার ভাষ্যমতে, সরকার আমাদের নিজেদেরই বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মন্দিরের আশেপাশে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় এক ডজন পরিবারকে সম্মতি পত্রে জোর করিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে তাদের বাড়ি খালি করতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে আক্তার জানায়, তিনি অনেক বাসিন্দাকে ওই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে দেখেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি দেন- যদি সই না করিস তাহলে সই আদায় করে নেয়ার অনেক কায়দা আমার জানা আছে। তবে আক্তার এও জানান, কর্মকর্তারা নিজের বসতভিটা ছেড়ে দিলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছেন তাদেরকে। তবে নামমাত্র মূল্যের সেই ক্ষতিপূরণের চেয়ে বাপ-দাদার পৈতৃক ভিটায় থাকতে চান তারা। তার প্রতিবেশী আহমেদ, মুশিরকেও একইভাবে জোর প্রয়োগ করা হচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে এই অঞ্চলে হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বাস করে এসেছে বলেও জানান আক্তার। উত্তরপ্রদেশের কট্টর ডানপন্থী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথই গোরক্ষনাথ মন্দিরের মহন্ত বা প্রধান পুরোহিত। মনে করা হচ্ছে তার নির্দেশেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর এ দমন-পীড়ন চলছে। ২০১৭ সালে কট্টর বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি প্রায় দু-দশক ধরে গোরক্ষপুরের সংসদ সদস্য ছিলেন। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।