নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তানভীরের ঘূর্ণিতে জিতেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। অন্য ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি সহজ জয় পেয়েছে। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে জহুরুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজের ফিফটির সুবাদে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে রূপগঞ্জ। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪০ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খেলাঘর।
রূপগঞ্জ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান (৪২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে) করেন আল আমিন হোসেন। এছাড়া আজমীর আহমেদ ২১ বলে ২৮, সাব্বির রহমান ২১ বলে ২৩ আর শেষদিকে জাকের আলি ১২ বলে খেলেন হার না মানা ১৯ রানের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও সাদিকুর রহমান সমান ৯ রান করে ফিরে যান দলীয় ২৫ রানে। এরপর দলের হাল ধরেন মিরাজ ও জহুরুল ইসলাম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৯৭ রান। ওখানেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। এর ফাঁকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। পরে মুক্তার আলীর বলে আউট হয়ে ফেরেন ৫৪ রানে। ৪৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে।
মিরাজের আউটের পর শেষ ওভারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। সেখানে দলকে বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম। সোহাগ গাজীর বলে পরপর দুটো বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। এতে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ১০ রানে হেরেছে শক্তিশালী শেখ জামাল। মূলত বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছেন শেখ জামালের নামি ক্রিকেটাররা। শাইনপুকুরের করা ১৩৭ রানের জবাবে শেখ জামাল এক বল আগেই অলআউট হয়ে যায় ১২৭ রানে। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শাইনপুকুর অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। বড় কিছুর সম্ভাবনা জাগিয়েও অল্পেই আউট হন তানজিদ হাসান তামিম, তৌহিদ হৃদয় ও সাব্বির হোসেনরা। সাব্বির ২০, তানজিদ ৩৪ ও তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে রবিউল ইসলাম রবি ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন।
শেখ জামালকে হারানোর পথে ৪ ওভারে দুই মেইডেনসহ মাত্র ৮ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তানভীর। ম্যাচের একপর্যায়ে তার বোলিং ফিগার ছিল ২-২-০-৩; অর্থাৎ প্রথম দুই ওভারে কোনো রান না দিয়েই ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অবধারিতভাবে তানভীরের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শেখ জামালের দুই ওপেনার সৈকত আলি ও মোহাম্মদ আলি। প্রথম চার বলে দুই চার হাঁকান সৈকত। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়েই চার মারেন আশরাফুল। কিন্তু সেই ওভারের শেষ বলেই আশরাফুলকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন হাসান মুরাদ। পরের ওভারের শেষ বলে তানভীরের প্রথম শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন ৯ রান করা সৈকত। তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও ইলিয়াস সানি। নবম ওভারে ২৮ রান করা নাসিরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। পরের ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তানভীর।
তার করা দশম ওভারে আউট হন শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও তানভীর হায়দার। যার ফলে চোখের পলকে ২ উইকেটে ৭১ থেকে ৫ উইকেটে ৭২ রানের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা ইলিয়াস সানি হন রান আউট।
শেষদিকে মোহাম্মদ এনামুল ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংসে চেষ্টা করেছিলেন দলকে জেতানোর। কিন্তু রানআউটে সমাপ্তি ঘটে তার ইনিংসের। ফলে জয় পাওয়া হয়নি শেখ জামালের। তানভীরের ৩ উইকেট ছাড়াও আরেক বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের শিকার ২টি উইকেট।
চলতি লিগে তৃতীয় ম্যাচে শাইনপুকুরের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে তিন ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো হারল শেখ জামাল। এ জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে গেছে শাইনপুকুর, শেখ জামাল নেমে গেছে সাত নম্বরে।
আগের রাতে একই স্টেডিয়ামে মোহামেডান ৬ উইকেটে হারায় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।