জ্যৈষ্ঠের গরমের তেজের সাথে দেশের অনেক স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে বাতাসে অত্যধিক হারে জলীয়বাষ্পের কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে হাতিয়ায় ১৩৪ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকা ও সীতাকুন্ডে ১৫, নেত্রকোণায় ১১, সিলেটে ২০, ভোলায় ১১ মি.মি.সহ সবক’টি বিভাগের অনেক জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষার আবহ) বর্তমানে টেকনাফ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। আসছে সপ্তাহে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায় ৩৬.৮ এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪.৪ ও সর্বনিম্ন ২৭.৪ ডিগ্রি সে.। সন্ধ্যায় ঢাকার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ছিল ৭৮ শতাংশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অবস্থান করছে। অপর লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী দমকা বা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।