Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে হত্যায় অভিযুক্ত মা’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ৩:২৪ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে নাজমুস সাকিব নাবিল (২৫)কে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মা নাসরীন আক্তারের (৪৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। নরসিংদী শহরের বাজিড় মোড়ের নিরালা নামক আবাসিক হোটেল থেকে সোমবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নাজমুস সাকিব নাবিল হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকেই নাসরিন আক্তার পলাতক ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ নিশ্চিত করে উদ্ধারকৃত লাশটি নাসরীন আক্তারের। এর আগে সকালে হত্যাকান্ডের শিকার নাজমুস সাকিব নাবিলের বাবা ছগির হোসেন ছেলেকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী নাসরীন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নাসরীন আক্তার ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।

নরসিংদী থানা পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় একাই নিরালা হোটেলের একটি কক্ষ নাসরিন আক্তার নাম পরিচয় গোপন করে রেহানা আক্তার (৩০), পিতা আবু তাহের, মাতা : ফাতেমা জোহরা, গ্রাম : ডৌকাদি, নরসিংদী পরিচয়ে ভাড়া নেন।
সোমবার দুপুরে ভেতর থেকে হোটেল কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও তার সাড়া না পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে জানালার গ্রীলের সঙ্গে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত বলেন, সোমবার বিকেলে হোটেলের কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যাকান্ডের শিকার মাদ্রাসা ছাত্র নাজমুস সাকিব নাবিলের মা নাসরীন আক্তার।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম-বার বলেন, নরসিংদীতে উদ্ধার হওয়া লাশই ছেলে হত্যায় অভিযুক্ত নাসরিন আক্তারের।
তিনি আরো জানান, নাবিলের মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাছরিন আক্তারকে দায়ী করে বাবা সগির আহমেদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরর সময় আসামি নাছরিন পলাতক ছিলেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, হত্যাকান্ডের শিকার নাজমুস সাকিব নাবিলের পিতা রোববার (৩০ মে) রাত ৮ টায় বাসায় ফিরে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। তার নিকট থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে রুমে প্রবেশ করে সন্তানকে জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখেন। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২০/২৫ টি দাগ রয়েছে। পরে আশপাশের লোকজনকে ডেকে তাদের সহযোগিতায় সাকিবকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ধানমন্ডি হেলথ কেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়ার সময় সাকিব মারা যায়। ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী পলাতক ছিলেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যা ছিল। তার সন্দেহ স্ত্রী নাসরিন ও অজ্ঞাতনামা আসামির সহায়তায় সন্তান সাকিবকে হত্যা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ উদ্ধার

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ