Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জড়িত ভিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় টিআইবি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

দুর্নীতি এবং অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত ভিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও আত্মঘাতী। তিনি আরো বলেন, ইউজিসির সুনির্দিষ্ট সুপারিশ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনীহার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা দুর্নীতি-অনিয়মের যোগসাজশের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এটা সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জবাবদিহিতার অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই প্রতিফলন। টিআইবি মনে করে, এমন পরিস্থিতি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ও জাতীয় জীবনে যার সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ^বিদ্যালয়সমূহ শিক্ষাদান, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পরিবর্তে একশ্রেণির সুবিধাভোগী দলদাস তথাকথিত শিক্ষকদের কারণে দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির স্বার্থ রক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততা নিয়োগ প্রদানের অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা সরাসরি নাকচ করে দেয়া যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভিসিসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে এমনসব ব্যক্তিকে পদায়ন ও নিয়োগ দিচ্ছেন, যারা উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ নয় বরং ক্ষমতাসীন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানে সচেষ্ট থাকেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত একজন ভিসিকেও যদি ন্যায়বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হতো, তাহলে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ভিসিরাও অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার সাহস করতেন না। ইউজিসি’র একজন সদস্য এই মর্মে সম্প্রতি যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, তার সাথে একমত পোষণ করে টিআইবি। সংস্থাটি মনে করছে, জবাবদিহি ও শাস্তির অভাবে ভিসিদের একাংশ কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচার মনোবৃত্তির ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বিশ^বিদ্যালয়সমূহে দুর্নীতির নিত্য-নতুন ধরন সম্পর্কে আমরা অবগত হচ্ছি। এ ব্যাপারে কারো কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিরও কোনো বালাই নেই। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ জরুরি। কারণ কোনো ভিসির বিরুদ্ধে ২৫টি আবার কারো বিরুদ্ধে ৪৫টি পর্যন্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ