Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ঢাকায় পানিবদ্ধতা : নেটিজেনদের উদ্বেগ

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২১, ১০:১৪ পিএম

কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বহু বছর ধরে চলমান পানিবদ্ধতার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

প্রতি বছর সিটি করপোরেশনসহ রাজধানীর পানিবদ্ধতা নিরাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নানা আশ্বাস দেয়ার পরেও কোন সমাধান না হওয়া বিষয়টি নিয়ে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা, ক্ষোভ, নিন্দা ও তিরস্কারের ঝড় বইছে। এই পানিবদ্ধতা নিয়ে অনেক আবার সরকারেরও সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি নিজেদেরকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে নীরা হক লিখেন, ‘এখনও তো পুরোপুরি বর্ষাকাল শুরু হয় নাই। এখনই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের ঢাকাবাসীর জন্য সামনে খুব খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। সরকার, সিটি করপোরেশনসহ বাকিরা যে সারাবছর কি করে সেটাই আমার বুঝে আসে না।’

হাসিবুর রহমান আলভির প্রশ্ন, ‘আহারে কি অবস্থা উন্নয়ন করে কি লাভ হলো, যে উন্নয়ন হতে হয় প্রশ্নের সম্মুখীন যে উন্নয়ন মানুষের ভোগান্তি বাড়ায়, সে উন্নয়ন কাদের জন্য? সারাজীবন শুনে আসছি, দেখে আসছি, উন্নয়ন মানুষের সুফল পায়। আর আমাদের দেশের উন্নয়ন মানুষের ভোগান্তি বড়ায়, এটা কি আসলেই উন্নয়ন নাকি শুধু চোখে দেখা কিছু, জানি কেউ কেউ বলবে উন্নত দেশেও এমন হয়! আসলে প্রশ্নটা সেখানে না, প্রশ্ন হল যারা উন্নয়ন উন্নয়ন বলে আজ পাগল হয়ে যাচ্ছে, তাদের কি একবারও চোখে পড়ে না, এটা সে উন্নয়ন না যে উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে। এটা হচ্ছে প্রশ্ন তোলার উন্নয়ন যেখানে বারবার প্রশ্ন দাঁড়ায় এটা কেমন উন্নয়ন?’

ফরহাদ বিন নুর ফেইসবুকে লিখেন, ‘ঝড়-বাদলের দিনে রাজধানীতে এ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সমাধানে কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেয়া উচিৎ। এভাবে আর কত!’

তিরস্কার করে আমিনুল ইসলাম লিখেন, ‘এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন, বৃষ্টি না হলে আমরা জানতেই পারতাম না যে, এত বড় উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশে! বৃষ্টি হলেই ঢাকার প্রত্যেকটি রাস্তা-গলি হয়ে যায় নদী-খাল!’

নিজেদেরকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস উদ্দিন লিখেন, ‘নীতিবাক্য তো আমরা সবাই বলতে পারি, দোষারোপ করতে পারি বেশ, কিন্তু একবার কি আমরা নিজেদের চরিত্রের দিকে তাকিয়ে দেখেছি? আমার কথাটা নিম পাতার রসের মতো লাগতে পারে, কিন্তু ভেবে দেখুন সমস্ত ময়লা যখন ড্রেনের ভেতর ফেলে ড্রেন ভরাট করে দেই, তখন তো একবারের জন্যও ভাবি না বর্ষাকালে কি হবে? তখন কি সরকার এসে বা সরকারের লোকজন এসে ড্রেনের ময়লা ফেলে দিয়ে যায়? তাই আগে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।’

ব্যঙ্গ করে তারেক পরন্ত লিখেন, ‘যারা কক্সবাজার যাবেন ভাবছিলেন তারা কক্সবাজার না গিয়ে ঢাকা ঘুরে আসুন। দামে কম মানে ভালো। গরিবের কক্সবাজার!’

সরকারের সমালোচনা করে শান্তা ইসলাম লিখেন, ‘রাজধানী বাঁচাতে এবং নগরকে বসবাস উপযোগী করতে সরকার কি আদৌ কোন কাজ করছে? নাকি শুধু মুখে মুখে সব করে ফেলছে। কারণ গত কয়েক বছরে কোন দৃশ্যমান উন্নতি দেখতে পাচ্ছি না। বরং অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে।’

সোহেল রানা লিখেন, ‘ঢাকা শহরের হাজার কোটি টাকার ঢাললেও সমস্যার সমাধান হবে না। পরিকল্পনাবিহীন নগরায়নের ফলে আজ ঢাকার এই অবস্থা। সরকার ও জনগণকে সরকারের সকল আদেশ মানতে হবে। পরিকল্পনা সহকারে বহুতল ভবন নির্মাণ। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা এই সবগুলো পরিহার করতে হবে। তবে আস্তে আস্তে ঢাকার স্থিতিশীল হবে। জনগণকে সচেতন হতে হবে ।সেই সাথে দেশকে ভালবাসতে হবে ও দেশের মানুষগুলোকে। আর সর্বোপরি কাজে নামে বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে আত্মসাৎ বা লোক দেখানো কিছু কাজ করে বাকি টাকা খেয়ে ফেলা বন্ধ করতে হবে।’



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৩ জুন, ২০২১, ২:৫৪ এএম says : 0
    মেয়র দুই দিকে দুইজন এরা এখন কোথায় পালাইয়া গিয়েছে নিশ্চিত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকায় পানিবদ্ধতা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ