পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শতকরা ৯০ ভাগ বাড়িয়েছে। জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইসরাইল যে পরিমাণে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় তা শতকরা ৯০ ভাগ বেশি। ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে, সে সব জায়গা থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে জোর করে চলে যেতে বাধ্য করেছে অথবা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন ২৩টি ভবন দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক দপ্তর থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরাইল কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এসব ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে উচ্ছেদ কিংবা দখল করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ঘরবাড়ি নির্মাণ করার অনুমতি পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। ধ্বংস করা ভবনের মধ্যে ১০টি পূর্ব জেরুজালেম শহরে অবস্থিত। এএফপি এ খবর জানায়। অপরদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের গাজা উপত্যকার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেছেন, ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার ওপর যে অবরোধ দিয়ে রেখেছে তা খুব শিগগিরই ভেঙে পড়বে এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকরা উপযুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে পারবে। গাজা সফররত মিসরের একটি প্রতিনিধিদলকে সোমবার সিনওয়ার একথা বলেন। ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা মা’আন এ খবর দিয়েছে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হামাস ক্ষমতায় এলে ক্ষুব্ধ হয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে। এর ফলে গাজার জনগণ বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান একেবারেই নেমে গেছে। মিসরীয় প্রতিনিধিদলকে ইয়াহিয়া সিনওয়ার আরো বলেন, সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক মতামত সম্পূর্ণভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে হামাস সব উপায় ব্যবহার করবে। গাজার সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরাইল ব্যাপকভাবে বিমান হামলা চালায় এবং গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। কিন্তু হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের রকেট হামলার মুখে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়। এ বিষয়টিকে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো বিজয় হিসেবে দেখছে। এছাড়া, ইসরাইলের রাজনীতিতেও এটি বড় প্রভাব ফেলেছে। এএফপি, মিডল ইস্ট আই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।