নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বর্ষপূর্তি পালন করেছেন সানরাইজার্স হায়দারাদের তাবুতে। অভিষেক বর্ষপূতির সেই আবহ হায়দারাবাদ থেকে সাতক্ষীরায় গেছে ছড়িয়ে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ধুমধাম করেই ২১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। কলার সিøং পরেই কাটতে হয়েছে তাকে কেক। অথচ, গতবছরে ৯ ওয়ানডে ম্যাচে ২৬ উইকেটে আইসিসি’র বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া মুস্তাফিজুরকে এখন লোক দেখানো হাসি হাসতে হচ্ছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে অন্য টীমমেটরা যখন হাসি-আনন্দে কাটাচ্ছেন, করছেন খুনসুটি, ক্যারিবিয়ান লিজেন্ডারি পেস বোলার ওয়ালশ বিশেষজ্ঞ কোচ হয়ে এসেছেন, তাসকিনের গ্রিপ ধরিয়ে দিচ্ছেনÑ দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেই খুঁজছেন আনন্দ। আফগানিস্তান, ইংল্যান্ডকে পিষে মারতে বাঁ হাতটি ঠিকই করছে নিশপিশ, কিন্তু সেই হাত দিয়ে বলে গ্রিপই যে ধরতে পারছেন না মুস্তাফিজুর! গত ১১ আগস্ট লন্ডনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালে কাঁধে সফল টেলিস্কোপ সার্জারির পর মাঠে ফিরতে অপেক্ষা করতে হবে অন্ততঃ ৪ মাসÑসেই কঠিন বাস্তবতা মেনে নেয়াটা যে কতোটা কস্টের, গতকাল সেই চাপা কস্টটা প্রকাশ পেয়েছে মুস্তাফিজুরের কথায়Ñ ‘যখন জাতীয় দলে ছিলাম না, তখনতো এমন বেকার সময় কাটাতাম। এই লেভেলে আসার পর কাটানো হয়নি। জাতীয় দলে যোগ হওয়ার পর খেলার মধ্যেই ছিলাম। এখন খেলতে পারছি না। মিসতো অবশ্যই করছি। কষ্ট আর কি! ভালো-খারাপ মিলিয়েই আছে।’
অস্ত্রোপচারের পর কলার সিøং লাগিয়ে এসেছিলেন ঢাকায়,সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে ঈদ কেটেছে এই কলার সিøং পরেই। চিকিৎসকদের পরামর্শে খুলে ফেলেছেন তা ক’দিন আগে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন পূর্নবাসন প্রক্রিয়ার। ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. অ্যান্ড্রু ওয়ালেশের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পূর্নবাসনের চার্টটা জানা আছে বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ চৌধুরী এবং ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের। অস্ত্রোপচারের দিন থেকে ফেরার দিনক্ষন গুণছেন এই বাঁ হাতি কাটার মাস্টারÑ ‘অস্ত্রোপচারের পর ৬ সপ্তাহের মতো শেষ হয়েছে। ডাক্তার যেভাবে বলছেন, সেভাবেই কাজগুলো করছি। সবকিছু ভালোর দিকেই যাচ্ছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে পূর্নবাসন শুরু হবে। পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে বায়েজীদ ভাই (ফিজিও) যুক্ত আছেন।’ ইনজুরিতে পড়ে পূর্নবাসন প্রক্রিয়া এবারই প্রথম নয়, ২০১৪ সালেও ইংল্যান্ড সফরে পড়েছেন ইনজুরিতে। পূর্নবাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেটে। সে কারনেই পূর্নবাসন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে মেনে চলার তাগিদটা নিজ থেকেই করছেন অনুভবÑ‘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা আমার আছে। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইনজুরিতে পরে এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গিয়েছি। এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
হোমে পর পর ২টি সিরিজ মিস করছেন, তা মেনে নিয়েই আগামী ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য তৈরি হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকে এ পর্যন্ত যতোগুলো ম্যাচ খেলেছেন, সবই উপমহাদেশে। নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেট এবং সম্পূর্ন ভিন্ন কন্ডিশনে নিজেকে মেলে ধরার মানসিক প্রস্তুতিটা নিয়ে রেখেছেন এখন থেকেই- ‘এই মূহূর্তে তো আমি অসুস্থ। সুস্থ হওয়ার পর খেলার আশা তো থাকবেই। দেশে সফল হয়েছি, চেষ্টা করবো দেশের বাইরে খেললে সেখানেও সফল হতে।’
দলের নিউক্লিয়াস মুস্তাফিজুর। বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলের প্রধান অস্ত্রও বটে। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হওয়ার কথা বাংলাদেশের স্বপ্ন। অথচ, সাসেক্সে খেলতে যেয়ে বড় ধরনের ইনজুরি তৈরি করেছে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল। দলের বাইরে থেকে অনুশীলন দেখার কস্টটা অবশ্য প্রকাশ্যে আনতে চাননি, বরং হাসিয়েছেন মিডিয়াকেÑ ‘আমি ছোট মানুষতো, তাই উত্তর নেই!’ অথচ, এই ছোট মানুষের বোলিংয়েই হেসেছে বাংলাদেশ, পেয়েছে আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।