নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত বছর হওয়ার কথা ছিল লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেটি পিছিয়ে আনা হয় চলতি বছর। কোপা আমেরিকার ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার দুই দেশের যৌথ আয়োজনে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া থাকলেও দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলায় কিছুদিন আগেই কাটা পড়ে কলম্বিয়ার নাম। এবার দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন (কনমেবল) জানালো, টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা যাচ্ছে না আর্জেন্টিনাতেও! অথচ মাত্র ১৩ দিন পরই টুর্নামেন্ট শুরুর সূচি ছিল। শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাতেও টুর্নামেন্ট না হওয়ায় এখন টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে সেটিকে আর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে না দিয়ে কনমেবল জানিয়েছে, কোপা আমেরিকার এবারের আসর গড়াবে ব্রাজিলে। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে কনমেবল আয়োজক হিসেবে নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের নাম।
১০টি দক্ষিণ আমেরিকান দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ছিল ১৩ জুন থেকে ১০ জুলাই। ফাইনাল ১০ জুলাই। এর সহ আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। ফাইনালসহ ১৫ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল কলম্বিয়ায়, ১৩টি আর্জেন্টিনায়। কিন্তু সহ-আয়োজক কলম্বিয়া জুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় গত ২০ মে কাটা পড়ে তাদের নাম। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোপা আমিরকা নভেম্বরে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল লাতিন ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবলের কাছে। কিন্তু কনমেবল জানিয়ে দিয়েছে, টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্ধারিত দিনেই গড়াবে শতবর্ষী টুর্নামেন্টটি। তাই কালক্ষেপন না করেই ব্রাজিলকে আয়োজনের সুযোগ দেয় কনমেবল।
অবশ্য আর্জেন্টিনার নামটি আয়োজকের খাতা থেকে বাতিল হওয়ার কোনও কারণ জানায়নি কনমেবল। তবে দেশটির করোনা পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, সেটি একটি কারণ হতে পারে বলে ভাবা হচ্ছে। মে মাসেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে সরকারকে কড়া লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৬ হাজার ৬৯৩জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২১ হাজার ৩৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আর্জেন্টিনায়। মারা গেছেন ৩৪৮ জন। এমন পরিস্থিতিতে কনমেবল অন্য আয়োজক খুঁজছিল।
এদিকে যেসব খেলোয়াড় টুর্নামেন্ট খেলতে দক্ষিণ আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন তারা নিজেরাও টুর্নামেন্ট হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ বলেছেন, ‘আমাদের এই মুহূর্তে মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ কিন্তু আয়োজকরা টুর্নামেন্ট বাতিল করার পক্ষপাতী ছিলেন না মোটেও। কারণ এর সঙ্গে আর্থিক বিষয়টি জড়িত। ব্রাজিলে ২০১৯ সালের সর্বশেষ কোপা আমেরিকা থেকে আয় হয়েছিল ১১৮ মিলিয়ন ডলার। এর ওপর এই অঞ্চলে কোপা লিবার্তাদোরেসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বার্ষিক আয়ের উৎস এই টুর্নামেন্ট। যা ছিল সংস্থাটির আয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের পাওয়ার কথা অন্তত ৪০ লাখ ডলার করে, চ্যাম্পিয়ন দলের বাড়তি পুরস্কার ১ কোটি ডলার।
আয়োজক হিসেবে কলম্বিয়া বাদ পড়ার পর থেকে চিলি ও প্যারাগুয়ের নাম শোনা গিয়েছিল। এ দুটি দেশ ১৫টি ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে বলে তখন সংবাদ উঠে এসেছিল। আর আর্জেন্টিনার করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় শোনা যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রর নামও। কনমেবলের মহাসচিব গনসালো বেলোসো গত সপ্তাহে জানান, তারা চিলির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। সম্ভাব্য বিকল্প আয়োজক হতে পারে চিলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।