মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনের অভিবাসন নীতি অতিমাত্রায় শিথিল। গত শনিবার টেক্সাসে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আর মাত্র সাত সপ্তাহের একটু বেশি সময় বাকি আছে। এরমধ্যে বিভিন্ন জনমত জরিপে আগামী নির্বাচনে ট্রাম্প ও হিলারির মধ্যে জোর লড়াইয়ের মধ্যে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। শনিবার বক্তৃতাকালে হিলারিকে কঠিন ভাষায় আক্রমণ করেই যাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি কার্যত সীমান্ত কড়াকড়ি বাতিল করবেন এবং দেশকে ‘গুরুতর ঝুঁকির’ মধ্যে ফেলবে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে অভিবাসন ইস্যু। ট্রাম্প গত গ্রীষ্মে বলেছিলেন, মেক্সিকোর বেশিরভাগ অভিবাসী মাদক পাচারকারী ও ধর্ষক। আর তিনি গতকাল শনিবার স্পষ্ট করেন যে তার বক্তব্য বেশিরভাগ হিস্পানিক ভোটারদের পীড়া দিলেও এ ব্যাপারে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখা বাদ দিবেন না। ট্রাম্প নিশ্চিত করে বলেন, ‘হিলারি নির্বাহী আদেশে সাধারণ ক্ষমা করে দেবেন, সংবিধান লঙ্ঘন করবেন এবং দেশকে কঠিন দুরবস্থার দিকে ঠেলে দেবেন। হিলারি অভিবাসন চর্চা নমনীয় করার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি কেবল সহিংস অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করবেন। আর এটা ট্রাম্পের নীতির বিপরীত। ট্রাম্প একটি সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ ও অনিবন্ধিত বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বিতাড়িত করার অঙ্গীকার করেছেন। অনিবন্ধিতদের হাতে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, প্রতিদিন আমাদের সীমান্ত খুলে রাখা হচ্ছে। আর নিরপরাধ আমেরিকাবাসী অপ্রয়োজনে হামলার শিকার হচ্ছে ও মারা পড়ছে।
এদিকে, ট্রাম্প গত অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রচারশিবিরের নতুন প্রধান নিয়োগ দেওয়ায় এবং কথাবার্তা বলায় আরও সাবধানতার পরিচয় দেওয়ায় তার প্রতি জনসমর্থন ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাছাড়া ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। অন্যদিকে, হিলারির জনপ্রিয়তা বেশি নারী এবং কৃষ্ণাঙ্গ ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে। আর শ্বেতাঙ্গ নারীদের মধ্যে দুই প্রার্থীর সমর্থন অনেকটাই কাছাকাছি। হিলারির সমর্থন ৪৬ শতাংশ আর ট্রাম্পের সমর্থন ৪৫ শতাংশ। তাছাড়া, কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন হিলারি। বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে। কলেজ ডিগ্রি পাওয়া সম্ভাব্য শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থনের দিক দিয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।