Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল স্থল বন্দর করোনার কোন চিকিৎসা নেই : আজও ৭০ যাত্রী দেশে ফিরেছে : যশোরে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৩০ জন আক্রান্ত : মৃত্যু -৭৮ জন

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ৬:৩৮ পিএম

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকা ৭০ বাংলাদেশী যাত্রী দেশে ফিরেছে। ভারত ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জণ্য পুলিশ প্রটেকশনে বেনাপোল ও যশোরের বিভিণœ হোটেল ও গেস্ট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পরও ১৫ দিনের মাথায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারছেন না কোন যাত্রী। ফলাফল পজিটিভ পাওয়া গেলে তাদেরকে নতুন করে যশোর জেনারেল হাসাপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচেছ।
ইতিমধ্যে ভারত ফেরত ৫ জনের শরীরে ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবীব জানান, ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সাথে সকল ¯থল সীমাšত পথ বন্ধ করে দেয়। তবে দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগও পায় আটকে পড়া যাত্রীরা। ২৬ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত ৫ হাজার ১১ জন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে। যাদের করোনা নেগেটিভ সনদ আছে তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে বেনাপোল ও যশোর সহ বিভিণœ জেলা শহরের হোটেল ও হাসপাতালে । আর যারা করোনা পজেটিভ তাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকায় আজও পর্যন্ত কোন হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। বেনাপোল থেকে ১৪ কি: মি: দুরে নাভারনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বেনাপোল বাসীদের। ভারত থেকে করোনার মধ্যে ৫ হাজার যাত্রী বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন করোনা ইউনিট বা করোনার চিকিৎসা না থাকায় যাত্রীদের বেনাপোল থেকে ৩৮ কি: মি: দুরে জেলা শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচেছ।

তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে ¯া^ভাবিক রয়েছে আমদানি রফতানি বানিজ্য। ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা
যাতে বন্দরের বাইরে না যেতে পারে সেজন্য প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বন্দর এলাকায়। শুক্রুবার বিকেলে এ ্ ব্যপারে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে কাস্টমস,বন্দর, পুলিশ , বিজিবি ও শার্শা উপজেলা প্রশাসনের জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে ট্রাক চালকদের মাধ্যমে ভারতীয় করোনা ভেরিয়েন্ট যাতে দেশে সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ৪৯ বিজিবি সদস্যরা ট্রাক চালকরা যাতে বন্দরের বাইরে আসতে না পারে সেজন্য ৪৯ বিজিবি সদস্যরা বন্দরের বাইরে টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ন অর্থনৈতিক জোন। সরকার এখান থেকে বছরে শতশত কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে কিন্ত এই বন্দরে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করা উচিত। এ বন্দরে করোনার কোন ইউনিট নেই, করোনা চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে জেলার মোট ৩২ হাজার ছয়শ’ ৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রাšত হয়েছে ৬ হাজার আটশ’ ৩০ জন। সুস্থ হয়েছে ছয় হাজার তিনশ’ ৭৮। মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক কোয়ারেন্টিন শেষে সকলের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে কোয়ারেন্টিনের ১৫তম দিনে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হবে। ফলাফল আসার পর নেগেটিভ হলে ছেড়ে দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ